উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় : সাধারণত ২০ থেকে ৬০ বছর বয়স্ক লোকেরা উচ্চ রক্তচাপে ভুগিতে থাকে। স্ত্রী পুরুষ সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বৃদ্ধ বয়সেও এ রোগে আক্রান্ত হইতে থাকে দেখা যায়। বেশি স্বাস্থ্যবান বা স্বাস্থ্যবতী লোকের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অধিক পরিমাণে দেখা যায়। আমাদের ধারণা কোন ব্যক্তির শরীরের রক্ত বেশি থাকলে তাহার রক্তচাপ অধিক হবে কিন্তু সর্বক্ষেত্রে এটা ঠিক নয়। রক্তহীন ব্যক্তির ও উচ্চ রক্তচাপ রোগ থাকতে পারে। একজন সুস্থ লোকের রক্তের চাপ সিস্টোলিক ১১০ হতে ১৪০ (মিলিমিটার) এবং ডায়াসটোলিক ৭০ হতে ৯০ (মিলিমিটার) সোজা কথায়, মানুষের স্বাভাবিক রক্তের চাপ = ৯০+ বয়স। যদি কারো বয়স ৪৫ হয়, তাহলে তার স্বাভাবিক প্রেসার হবে ৯০+৪৫ =১৩৫। এটি হলো সিস্টোলিক প্রেসার।

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ ও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

স্বাস্থ্য টিপস ও ফ্রিল্যান্সিং, ইতিহাস সম্পর্কিত এবং দৈনিক তথ্য জানতে পড়তে পারেন।

ডায়ালোস্টিক চাপ হইবে তার চেয়ে ৪০/৫০ কম। এর উপরে রক্তের চাপ বাড়িলে উচ্চ রক্তচাপ ধরা হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ব্লাড প্রেসারও বাড়িতে থাকে উত্তেজনা হলে সিস্টোলিক প্রেসার বাড়ে, কিন্তু, ডায়লস্টিক প্রেসার তত্ত্ব বাড়ে না।

উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে ?

কোন রোগের ফলে ব্যবহার বা উহার আনুষাঙ্গিক রূপে না দেখা দিয়ে আপাতদৃষ্টিতে কোন কারণ ছাড়াই যখন Blood Pressure (রক্তচাপ) বৃদ্ধি পায়, তখন ওই রক্ত চাপকে প্রাথমিক বা অপরিহার্য উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। 

উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ :

  • মাথাব্যথা হয় এবং চাপ দরিয়া থাকে। 
  • মাথার পিছনে ঘরের রগ টানিয়া ধরে এবং ঘাড়ে ব্যাথা হয়। 
  • মাথা ঘুরে এবং পড়িয়া যাইবার সম্ভাবনা থাকে। 
  • শরীরের অনিদ্রা ক্লান্তি ও অবসাদ নামিয়ে আসে। 
  • বেশি চাপ বাড়িলে রোগী অজ্ঞান হয় এবং অঙ্গ হানি ঘটে। 
  • কানের মধ্যে যা যা করে। 
  • কোন কাজে মনোনিবেশে অক্ষমতা প্রকাশ পায়। 
  • স্মরণশক্তি কমে যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় :

  • রোগের শারীরিক মানসিক বিশ্রামের প্রয়োজন। 
  • সকল রোগীর মানসিক শান্তি বজায় রাখা উচিত কেননা উত্তেজিত হইলে রক্তের চাপ বাড়ে। 
  • কোন ক্রমে রোগীকে রাগান্বিত করা উচিত নয়। 
  • সময়মতো ঘুমানোর অভ্যাস ঘরে তুলতে হইবে অতিরিক্ত সুখ দুঃখ আঘাত প্রবৃত্তি যেন মনে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 
  • যাদের শরীরের ওজন বেশি তাহাদের ওজন কমানো উচিত 
  • স্নেহ ও শর্করা জাতির খাদ্য খুব কম খাইতে হবে। 
  • রক্তের উচ্চ চাপ দেখা দাও মাত্র চিকিৎসকের নিকট হতে ওষুধ লইয়া চাপ কমাতে হবে।
সম্পর্কিত পড়ুন : জন্ডিস এর লক্ষণ ও জন্ডিস হলে করনীয়।
 

উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী কোন গ্রন্থি

বর্তমানে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, দুটি অন্যতম প্রধান কারণের ফলে অপরিহার্য রক্তচাপ বিধি দেখা দেয়। এই দুটি বিশিষ্ট কারণ হলো বংশগতি ও উদ্বেগ। যদি পরিবারের মা-বাবা দুজনে এ রোগে আক্রান্ত থাকেন তবে ছেলেমেয়েদের শতকরা ৭৫ জনের জীবনের এক সময় এই রোগ হবার সম্ভাবনা থাকে। আর যদি দুইজনের যে কোন একজনের এই ব্যাধি থাকে তবে সন্তানদের শতকরা ৩০ জনের পরিণামে রক্তচাপ বৃদ্ধি ঘটবে। মানসিক উদ্বেগ ও চাঞ্চল্য যখন বাহিরে প্রকাশিত না হয়ে সর্বক্ষণ মন্তব্য করতে থাকে তখন মনের উপর সে ক্রমাগত উৎপিরন রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগিতেছে এমন এক ব্যক্তি সুচিকিৎসা আজ দীর্ঘ সুস্থ থাকার আশা করতে পারে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি এই উচ্চ রক্তচাপ বেশি লক্ষ্য করা যায় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ গুলি যথা দীর্ঘস্থায় নেপরাইটিস বা অ্যাড্রিনাল ও গ্রন্থির টিউমার প্রবৃত্তির অনুপস্থিতির প্রমাণিত হয় তাহলে রোগ নির্ণয় নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্বব। একটি কথা সর্বদা সরণ রাখতে হবে যে ওষুধ উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি ভালো করতে পারে না। তবে পারে শুধু এমন এক পর্যায়ে আনতে যা দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়।Blood Pressure বা উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসায় রোগীকে কোন ঔষধের ব্যবস্থা দিতে হবে তার রোগীর রক্তচাপের মাত্রা, স্থায়িত্বকাল, প্রদর্শিত লক্ষণ এবং ভাবাবেগের  প্রেক্ষাপটের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।

সম্পর্কিত আরও পড়ুন: ইনফেকশনের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url