লাহোর প্রস্তাবের মূলধারা সমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর: ভূমিকা: ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব ব্রিটিশ ভারতের সাংবিধানিক অগ্রগতি এবং মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির সাবির ক্ষেত্রে সুদূর প্রসারী ভূমিকা রাখোর সাধের প্রচারের সিদ্ধান্তে ভারতের ভবিষ্যৎ সাংবিধান রচনায় দুসলমানদের চিন্তাধারায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে।লাহোর কেচারে ভিত্তি ছিল দ্বি-জাতি তত্ত্ব এবং এ জাতি তত্ত্বই পরবর্তীতে মুসলমানদেরকে পারিপারিবর্তন আনে। লাহোর প্রস্তাবের ভিডিপিধারা সমূহ নিমে বর্ণনা কর হলো।
লাহোর প্রস্তাবের মূলধারা সমূহ
১. 'নিখিল ভারত মুসলিম লীগ দৃঢ়তার সাথে পুনঃঘোষণা করছে যে, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মধ্যে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা ভারতের উদ্বৃত অবস্থার প্রেক্ষিতে অসম্ভব ও অকার্যকর বিধায় তা ভারতীয় মুসলমানদের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।"
২. 'সমস্ত সাংবিধানিক পরিকল্পনা নতুনভাবে বিবেচনা না করলে ভারতের মুসলমানরা অসন্তুষ্ট হবে এবং মুসলমানদের সমর্থন ছাড়া সংবিধান রচনা করলে/ হলে কোন সংশোধিত পরিকল্পনা ও তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হবে।"
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি নদ-নদীর বর্ণনা।
৩. মুসলিম লীগের সুচিন্তিত অভিমত যে, ভারতে কোন শাসন-তান্ত্রিক পরিকল্পনা কার্যকর হবে না অথবা মুসলমানদের। নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না যদি না তা নিম্নলিখিত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে রচিত না হয়।"
(ক) ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী সংলগ্ন এলাকাগুলোকে অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।
(খ) "প্রয়োজন অনুযায়ী সীমানা পরিবর্তন করে ভারতীয় উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলকে এমনভাবে গঠন করতে হবে যাতে এ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান এলাকাগুলো পরবর্তীতে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠন করতে পারে।"
(গ) স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের প্রদেশ বা অঙ্গ রাজ্যগুলো স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্ব পাবে।"
আরো পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ কি ? এর কারণ আলোচনা কর।
৪. "এ সমস্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি অধিকার সংরক্ষণ এর জন্য তাদের মতামত অনুযায়ী সংবিধানে কার্যকরী ও বাধ্যতামূলক রক্ষাকবচ এর ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভারতবর্ষের যে সর এলাকায় মুসলমানরা সংখ্যালঘু সেখানে তাদের সাথে সুপারিশ সাপেক্ষে সংবিধানে তাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য কার্যকর ও বাধ্যতামূলক রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করতে হবে।"
উপসংহার: উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, লাহোর প্রস্তাব হলো মুসলমানদের অধিকার চাওয়ার প্রস্তাব। লাহোর প্রস্তাবে মুসলমানদের জন্য ভিন্ন রাষ্ট্রের দাবি থাকায় অনেকে এ প্রস্তাবকে "পাকিস্তান প্রস্তাব" নামে নামকদ করেন। কেননা, পরবর্তীতে এ লাহোর প্রস্তাবের ফলস্বরূপ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক একটি পৃথক মুসলিম রাষ্ট্রের সৃষ্ট হয়।
আরো পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ কি? এর ফলাফল আলোচনা কর।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url