বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি নদ-নদীর বর্ণনা
ভূমিকা: বাংলাদেশে প্রধান ছোট-বড় মিলে প্রায় নদ-নদীর সংখ্যা ৭০০ স্থির মতো। নদীগুলোই যে বাংলাদেশের জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এগুলো আঁকাবাঁকা পথে চলেছে। অনেকগুলো বেশ দীর্ঘ এবং প্রশস্ত। আবার বেশ কিছু নদী সরু হয়ে গেছে। অনেক নদী অনেক আগেই মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে আবার অনেকগুলো যাওয়ার পথে। বাংলাদেশের নদ-নদী বাংলাদেশের বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তিস্থল বিভিন্ন জায়গায় হলেও এগুলো শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি নদ-নদীর বর্ণনা।
১. পদ্মা: একই নদীর দুই নাম। ভারতে এর নাম গঙ্গা এবং বাংলাদেশে এর নাম পরা। এর উৎপত্তিস্থল মধ্য হিমালয়ের গাঙ্গোত্রী হিমবাহে। উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্য অতিক্রম করে গঙ্গা বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে। গোয়ালন্দের নিকট যমুনার সাথে মিলিত হয়েছে। চাঁদপুরে মেঘনার সাথে পদ্মা নাম ধারণ করে বরিশাল ও নোয়াখালী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলা নামের উৎপত্তি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
২. ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা তিব্বতের মানস সরোবরে ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল। আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলায় এটি প্রবেশ করেছে। ১৭৮৭ সালের আগে ব্রহ্মপুত্রের প্রধান ধারাটি ময়মনসিংহের মধ্য দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে আড়াআড়িভাবে প্রবাহিত হতো। পরবর্তীতে ভূমিকম্পের প্রভাবে নতুন শাখা নদীর সৃষ্টি করে যা যমুনা নামে পরিচিত।
৩. মেঘনা: মেঘনা নদীর সৃষ্টি হয়েছে সিলেট জেলার সুরমা ও কুশিয়ারার মিলিতস্থলে সুরমা ও কশিয়ারার উৎপত্তি আসামের বরাক নদী নাগা-মনিপুর অঞ্চলে। কুশিয়ারা ও সুরমা নদী বাংলাদেশের সিলেট জেলায় প্রবেশ করেছে। সুনামগঞ্জ জেলার আজমিরি গঞ্জের কাছে কালনী নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে।
আরও পড়ুন: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির কারণ উল্লেখ কর।
৪. কর্ণফুলী: বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদী কর্ণফুলী। এর উৎপত্তিস্থল লুসাই পাহাড়ে। ৩২০ কি.মি দৈর্ঘ্যের এই নদীটি চট্টগ্রাম শহরের খুব কাছ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।
৫. তিস্তা: সিকিমের পার্বত্য অঞ্চলে উৎপত্তি হয়ে তিস্তা নদী ভারতের জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের হিমলা অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে। পরে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র এদের সাথে মিলিত হয়েছে।
৬. পশুর নদীর: খুলনার দক্ষিণে ভৈরব বা রূপসা নদী আরও দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে ত্রিকোনাও দুর্বলার ডানদিক দিয়ে দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। সুন্দর বনের ভিতর।
আরও পড়ুন: বাঙালি একটি সংকর জাতি-ব্যাখ্যা কর।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের উপর নদীর প্রভাব অপরিসীম।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url