একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা জেনে নিন | The Daily Learn

একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা সম্পর্কে বলতে গেলে একক মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত ব্যবসায় সংগঠনকে একমালিকানা ব্যবসা বলে। নিচে একমালিকানা একমালিকানা ব্যবসা কী ? ও একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা নিচে উপস্থাপন করা হল। 

একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা

একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা - দি ডেইলি লার্ন 

ভূমিকা: একজন ব্যক্তি মালিকানা পরিচালিত ব্যবসা কে মালিকানা ব্যবসা বলে। এরূপ ব্যবসার মালিক নিয়েছি মূলধন যোগান দেয় ঝুঁকি বহন করে পরিচালনা করে এবং মুনাফা করে একমালিকানা ব্যবসায় নিজেই নিজের ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং নিয়ন্ত্রণ কার্য সম্পাদন করেন। একমালিকানা ব্যবসায় গঠন করতে কোনো আইনগত জটিলতা নেই। টি  ব্যক্তি সামান্য মূলধন নিয়েই এ ব্যবসা শুরু করতে পারে।

একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা: একমালিকানা ব্যবসায় মালিক একজনই থাকে। তিনিই ব্যবসায় মূলধন সরবরাহ করেন।কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালিত হলেও মালিকানায় কোনোরূপ সমস্যার সৃষ্টি হয় না। ব্যবসায়ের মালিক নিজের তহবিল হতে মূলধন সরবরাহ করে থাকে। মূলধনের পরিমান কম হলে ও এ ব্যবসায় খুব সহজেই গঠন করা যায়। তবে মালিক ঋণের মাধ্যমেও ব্যবসয় মূলধন সংগ্রহ করতে পারে।মালিক একাই ব্যবসা পরিচালন করেন। তবে নিজের সুবিধার জন্য কর্মচারী নিয়োগ করতে পারেন। কর্মচারী থাকলেও মালিক নিজেই পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। 

এক মালিকানা ব্যবসায় মালিক একাই মূলধন সরবরাহ কারী হওয়ায় ব্যবসায় মূলধন কম হয়ে থাকে এবং আয়তন আকারে ছোট হয়ে থাকে। এক মালিকানা ব্যবসায় আইনগত ঝামেলা না থাকে যে কেউ খুব সহজেই একমালিকানা ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ করতে পারে। আইন ধারা গঠিত হয়না বলে এ ব্যবসায়ের আলাদা কোনো সত্তা নেই। মালিকের সত্তার উপরেই এ ব্যবসা টিকে থকে এবং মালিকের নামেই এ ব্যবসা লেনদেন সংঘটিত হয়।একমালিকানা ব্যবসায়ের আইনগত কোনো অস্তিত না থাকায় স্থায়িত্ব অনিশ্চিত। মালিকের ইচ্ছা ও ক্ষমতার ওপর স্থায়ীত্ব নির্ভরশীল।

পড়ুন: নিচে একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য টি অবশ্যেই পড়ুন।

একমালিকানা ব্যবসায় পৃথিবীর প্রথম ব্যবসায় সংগঠন। তাই এটি সর্বপ্রাচীন ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে পরিচিত। এ ব্যবসায়ের পূর্বে কোনো যৌথ মালিকানার ব্যবসায়সংগঠন গঠিত ও পরিচালিত হয়নি। স্বাধীন ভাবে এ ব্যবসায় গঠন ও নিয়ন্ত্ৰণ করা যাই বলে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয়।ব্যবসায় সংগঠন হিসাবে পৃথিবীতে সমাদৃত। এ ব্যবসায় কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না বলে এটি সবার নিকট প্রিয়।এ ব্যবসায়ের বিলোপস্বাদনে কোনো আইনগত জটিলতা নেই। তাই মালিক ইচ্ছা করলেই এই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারেন। নিজের প্রয়োজনে ব্যবসায় গুটিয়ে ফেলতে চাইলে কোনো আইনগত জটিলতা পোহাতে হয়না।

পরিশেষে বলা যায়, একমালিকানা পরিশেষেগঠন ,পরিচালনা,নিয়ন্ত্রণ এবং অবস্থানগত দিক থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত বৈশিষ্টের অধিকারী এ সংগঠন। তাই অনন্য ব্যবসায় সংগঠন হতে এর প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। 

একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা ও জনপ্রিয়তার কারণ:

সুদূর প্রাচীন কাল হতে যে ব্যবসা এর হাত ধরে ব্যবসায়ী কার্যক্রমের উদ্ভব হয় তা হলো একমালিকানা সংগঠন। এত পুরনো হলেও নিজের যোগ্যতা ও বিশ্বায়নের ব্যবসায়টি বৃহদায়তন ব্যবসায়ের পাশাপাশি অত্যান্ত দাপটের সাথে অবস্থান করছে। সহজ গঠন,স্বল্প আয়তন, ক্ষেত্রগত সুবিধাসহ যে সব কারণে ব্যবসা কে জনপ্রিয় করে তুলেছে সেগুলো আলোচনা করা হলো:

১. সহজ সংগঠন : বৃহদায়তন ব্যবসায় সংগঠন এর তুলনায় একমালিকানা সংগঠন গড়ে তোলার সহজ। কেননা অন্যান্য ব্যবসায় সংগঠন আইনগত জটিলতা থাকলেও এ ব্যবসা না থাকায় সহজে ব্যবসা শুরু করা যায়।

২. স্বাধীনতা: ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্য কারো উপর নির্ভর করতে হয় না বলে একক মালিক স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।

৩.গোপনীয়তা রক্ষা: ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একক মালিক কারো সহযোগিতা গ্রহণ করে না বলে গোপনীয়তা রক্ষা পায় যা বৃহদায়তন ব্যবসায় সম্ভব নয়। 

৪. সহজ পরিচালনা: এ মালিকানা পরিচালনায় তেমন আইনগত জটিলতা নাই।  যে কেউ তার মতো করে খুব সহজে ভাবে ব্যবসা পরিচালন করতে পারে কিন্তু  বৃহদায়তন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আইনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হয়। 

৫. স্বল্প মূলধন: এ ব্যবসা গঠন ও পরিচালনা করতে বেশি মূলধন প্রয়োজন হয় নেই । তাই যে কেউ স্বল্প অথবা ছোট আয়তনে সামান্য মূলধন নিয়ে ব্যবসা গঠন শুরু করতে পারে। 

৬. অবস্থানগত সুবিধা: গ্রাম থেকে শুরু করে জেলা অথবা আধুনিক শহর অঞ্চলের যেকোনো অবস্থানে এক মালিকানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

৭. নমনীয়তা: সময়,অবস্থা, রুচির সাথে সাথে একমাত্র একমালিকানা ব্যবসায় নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারে বলে প্রয়োজনের সাথে তাল মিলাতে পারে।

৮. দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ: কারো সাথে আলোচনা ছাড়াই একক মালিক ব্যবসায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে যা যৌথ মালিকানায় সম্ভব নয় তাই যে কোন বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয়।

৯. প্রত্যক্ষ সম্পর্ক : একমালিকানা ব্যবসায়ে মালিক কর্মচারী তাদের মধ্যে প্রতিদিন  যোগাযোগ তৈরী হয়। যার ফলে তাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  

১০. সহজ বিলোপসাধন:  মালিক ইচ্ছে করলেই যেকোনো মুহূর্তে এ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে পারেন অথবা পরিবর্তন করে নিতে পারেন অন্যান্য বড় ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মত বিলোপ এ তেমন কোনো এর আইনগত জটিলতা নেই তাই ব্যবসায়ীরা যেকোনো সময় অবসায়ন সহজ হয়। 

আরো পড়ুন : ১৯৭০ সালের নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন। 

একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা - সম্পর্কে দি ডেইলি লার্ন 'র কথা 

সুপ্রাচীন থেকে এ ব্যবসায়ের আর্বিভাব ঘটে তখন থেকে এ প্রযন্ত এই একমালিকানা ব্যবসায়ের সুনাম অব্যহত। একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা এই পর্বে একমালিকানা ব্যবসা সম্পর্কে যথাযথ উপস্থাপন করা হয়েছে। একমালিকানা ব্যবসা যে কোনো সময়ে যায় কেউ ছোট পরিষরে শুরু করতে পারে এবং মূলধন ছোট পরিষরে হওয়ায় আবার চাইলে যেকোনো সময় নিঃশেষ করতে পারে। বিশ্বের  প্রায়  ৮০% ব্যবসা হলো একমালিকানা ব্যবসা এবং বাংলাদেশের প্রায় ৮৫% ব্যবসা একমালিকানা ব্যবসার আওতাভুক্ত। 

যাইহোক, এই পর্বে একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা সম্পর্কে আশা করি ভালো ধারণা পেয়েছেন। এরকম শিক্ষণীয় সব তথ্যের জন্য ফলো করুন দি ডেইলি লার্ন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url