মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | দি ডেইলি লার্ন
মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
পুষ্টিগুণ: মধুতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান। তবে, মধুতে সাধারণত স্বল্প পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে।
শক্তির উৎস: মধু হল কার্বোহাইড্রেটের একটি প্রাকৃতিক উৎস, মধুতে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ উপাদান বিদ্যমান যা অনন্য শক্তির উৎসে খুব কমই পাওয়া যায়। মানুষের জরুরী শক্তির উৎস হিসেবে প্রথমেই মধুকে বিবেচনা করা হয়। কেননা, মধু খাওয়ার পর পরই মানুষ শরীরে একটি গরম ভাব ও শক্তি অনুভব করে। যা অনন্য প্রাকৃতিক পর্দাথ থেকে পাওয়া সম্বব হয় নয়। মধুতে থাকা কার্বোহাইড্রেটগুলি বেশ দ্রুত কাজ করায় মধু জরুরী শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
প্রশান্তিদায়ক প্রভাব: এই প্রাকৃতিক মধু মানুষের দীর্ঘদিন ধরে শুকনা কাশি এবং গলা ব্যথার জন্য বহু আগে থেকেই প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কাশির লক্ষণগুলি উপশম করতে বেশ কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। যা গরম পানির ও চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে সাধারণত মিশিয়ে খাওয়া হয় এবং যা এই অবস্থার জন্য একটি ঘরোয়া প্রতিকার।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে এবং শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আরো পড়ুন : তোকমা দানা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ক্ষত নিরাময়: প্রাচীনকাল থেকেই মধু ক্ষত নিরাময়ে যেমন : ছোটখাটো কাটা, পোড়া বা ক্ষতস্থানে তখন থেকেই মানুষ তাদের শরীরের কোনো অঙ্গে কাঁটা ছেড়া ও পোড়া অংশে মধু ব্যবহার করতো। মধুতে ব্যাকটেরিয়ারোধী বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য উপস্থিত থাকায় এটি ছোটখাটো কাটা, পোড়া স্থানে ব্যবহারের ফলে খুব দ্রুতই উপশম হতো।
রাতে মধু খাওয়ার উপকারিতা
রাতে মধু খাওয়ার ফলে আপনি কিছু উপকারিতা পেতে পারেন , যার মধ্যে রয়েছে:
রাতে মধু খাওয়ার ফলে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হতে পারে। যেহুতো মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ এর মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যার ফলে রাতে ঘুমানোর আগে একটু মধু খেতে পারেন। যা আপনার জন্য আরামদায়ক ঘুমের একটি একটি সঠিক পরিকল্পনা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে কাশি এবং গলা ব্যথা হলে রাতে মধু খেতে পারেন রাতে মধু খাওয়ার ফলে আপনি কাশি থেকে উপশম পেতে পারেন।
আরো পড়ুন: চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা।
খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা
দুধের সাথে মধু খাওয়ার উপকারিতা
দৈনিক মধু খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মধু খাওয়ার উপকারিতা
মধু খাওয়ার অপকারিতা
- মধুতে সাধারণভাবে গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ সহ আরো বিভিন্ন শর্করা রয়েছে। যদিও এই প্রাকৃতিক শর্করাগুলি মানব শরীরের জন্য সাধারণত স্বাস্থ্যকর বলে ধরা হয়। তবে, মধু রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধু খাওয়ার ফলে ডায়বেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়বেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কম পরিমাণে মধু খাওয়া এবং খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
- মধু আঠালো এবং মিষ্টি হওয়া মধু খাওয়ার সময় দাঁতে লেগে থাকতে পারে এতে করে দাঁতে ক্ষয়ে হতে পারে। তাই মধু খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করা এবং কুলি করে মুখ ও মুখমন্ডল পরিষ্কার করতে হবে।
- মধুতে শক্তির উৎস এবং পুষ্টিগুন্ থাকায় অপর্যাপ্ত বা অত্যাধিক পরিমানে মধু খাওয়া উচিত নয়। সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণে বা সঠিক মাত্রায় মধু খাওয়া যেতে পারে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url