ভাবসম্পসারণ: সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, সকলের তরে সকলে আমরা এই ভাবসম্প্রারণ টি জে.এস.সি, এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি  ভাবসম্প্রারণ। মানুষ সামাজিক জীব প্রাণীকুলের মধ্যে শ্রেষ্ট হওয়ার কারণে আমাদের ও রয়েছে অনেক দায়িত্ব একে অন্যের প্রতি। যাইহোক, আমাদের এই দায়িত্ব বোধ থেকেই এই ভাবসম্পসারণ টি সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে ভাবসম্প্রারণ নিম্মে রয়েছে :

সম্পর্কিত আরও দেখুন ভাবসম্প্রসারণ : পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। 

সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে

মূলভাব : মানুষ সামাজিক জীব। একক মানুষ অতিশয় ক্ষুদ্র, অসহায়। বিশ্বের সকল মানুষকে নিয়ে সমাজ, সেখানে মানুষ তার বৃহৎ পরিচয় খুঁজে পায়। আমাদের এ জীবন কেবল নিজের জন্য নয়। আমরা সবাই সকলের জন্য নিবেদিত। 

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আধুনিক বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া সমাজ গঠনে প্রত্যেককেই পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল। সামাজিক জীব হিসেবে কেউ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বেপরোয়াভাবে কাজ করতে পারে না। যদি ব্যক্তি শর্তে মানুষ অন্ধ হয় তাহলে সে সমাজে ব্যক্তি স্বার্থ প্রাধান্য পায়। হিংসা, বিদ্বেষ, অরাজগতা, বিবেদ নেমে আসে। তখন পৃথিবীর স্বর্গীয় সুখ দূরীভূত হয়। মানব সমাজ বসবাসের অযোগ্য হয়। তাই মানুষ সমাজকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হলে সাম্য ভ্রাতিত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মহৎ ও উদার হতে হবে। নিজের ব্যক্তিগত সুখের কথা না ভেবে সমাজের মানুষের কথা ভাবতে হবে। সভ্যতার সকল কিছু মানুষের সৃষ্টি। 

এ সৃষ্টি যদি এককেন্দ্রিক হতো তাহলে পৃথিবীতে মানুষ আজ অবস্থানে আসতে পারতো না। যেখানে থাকবে না কোন অবিচার, অনাচার, নামক সামাজিক বিষবাষ্প। যেখানে বিকশিত হবে মানবীয় গুণাবলী, চর্চা হবে পরস্পর পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্যর। আর তখনই হয়ে উঠবে স্বর্গীয় সুষমামন্দিত আমাদের পৃথিবী। আমরা যদি পৃথিবীর স্মরণীয় ব্যক্তিদের জীবনী পাঠ করি তাহলে এই সত্যটি পাই যে , তারা কখনোই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জীবন উৎসর্গ করেনি। সকলের সাথে নিজেদের জীবনকে যুক্ত করে লাভ করেছেন জীবনের পূর্ণ স্বাদ। খুঁজে পেয়েছেন জীবনের চরম ও পরম সার্থকতা। এ প্রসঙ্গে লেখক ডক্টর লুৎফুর রহমান বলেন, 'প্রকৃত সুখ কোথায়? পরকে ফাঁকি দিয়ে নিজের সুখটুকু ভাগ করে নেওয়াতে কি সত্যিকারের সুখ আছে? আত্মার সাত্ত্বিক তৃপ্তির কাছে জড় দেহের ভোগ সুখের মূল্য কিছুই না। যতদিন না মানুষ পরকে সুখ দিতে আনন্দবোধ করবে ততদিন তার যথাযথ কল্যাণ নেই। তাই বলা যায়, দশ জনের জন্য ভাবলে নিজের জন্য ভাবা হয় কারণ তাদের মধ্যে আমি নিজেও একজন। এজন্য অন্যর কথা ভাবতে হবে। অন্যর উপকারের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। অপরের সুখে সুখী হতে হবে। 

মন্তব্য : অপরের সেবার মধ্যেই আত্মনিয়োগ করলে সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের সুখ-শান্তি নিশ্চিত হবে। 

সম্পর্কিত আরও পড়ুন রচনা: শ্রমের মর্যাদা অষ্টম, এসএসসি, এইচএসসি। 

সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে আমাদের কথা : 

সকলের তরে সকলে আমরা ঠিক তেমনি ভাবে আমরা আবার প্রত্যেকেই পরের তরে। সমাজে আমাদের রয়েছে অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের সবার প্রতি এই দায়িত্ব খুব সন্দুর এবং সঠিকভাবে পালন করা উচিত। আমাদের ব্যক্তিগত সুখের কথা ভাবলে চলবে না আমাদের সবাইকে নিয়েই বাঁচতে হবে। সমাজের সবাই সুখী হলেই আমরা প্রকৃত সুখ খুঁজে পাবো। এই সুখ আমাদের সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে নিয়ে ভাবতে হবে। ওপরের দুঃখে দুঃখী হতে হবে। তাহলেই সমাজে সুখ শান্তি বিরাজ করবে। 

আরও দেখুন: ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url