ভাবসম্প্রসারণ : কীর্তিমানের মৃত্যু নেই | kirtimaner mrittu nei

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, ভাবসম্প্রসারণ : কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবসম্প্রসারণ টি তোমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। জে.এস.সি, এস.এস.সি, এইচ.এস.সি পরীক্ষায় এই ভাবসম্প্রসারণ টি প্রায় সময়েই এসে থাকে এবং অবশ্যই এটা তোমাদের পড়া উচিত। এজন্য এই ভাবসম্প্রসারণ টি তোমাদের কথা মাথায় রেখে ভাবসম্প্রসারণ টি প্রকাশ করা হলো নিম্মে ভাবসম্প্রসারণ টি পড়ুন।

সম্পর্কিত পড়ুন ভাবসম্প্রসারণ : পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। 

kirtimaner mrittu nei

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবসম্প্রসারণ | kirtimaner mrittu nei

ভূমিকা : মানুষ বয়সে প্রবীণ হলেও সে যদি তার মহৎ কর্ম সম্পাদনা না করে তবে সমাজে তার কথা কেউ স্মরণ করে না, আর বয়স নবীন হলেও সে যদি পৃথিবীতে সৎকর্ম করে থাকে তবে তাকে পৃথিবীর মানুষ মনে রাখে। মোট কথা জীবনের মূল্য তার কর্মের মাধ্যমে নিরূপিত হয়। 

সম্প্রসারিত ভাব : মানুষ মরণশীল।  সুতরাং পৃথিবীতে চিরদিন সে বেঁচে থাকতে পারে না। প্রকৃতির নিয়মে এই দিনটাকে পৃথিবী ছেড়ে চিরতরে চলে যেতে হয় অন্য কোনখানে এবং তারপর থেকে পৃথিবীতে সে অস্তিত্বহীন কিন্তু মানুষ সৃষ্টি সেরা জীব তার আছে চরিত্র, ভালোবাসা, উদারতা, কর্তব্য, নিষ্ঠা তথা আরো অনেক মহৎ গুণাবলী। এসব গুণের চর্চার মাধ্যমে মানুষ মরেও ওমর হতে পারে। পৃথিবীর বুকে সকলে হৃদয় কেবল খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ জন্মগ্রহণ করেনি। কর্মের ধারা পৃথিবীর বুকে অবদান রাখার জন্যেই তার জন্ম। যেন সমাজের কল্যাণে কাজ করেন তাদের জীবনকাল যাই হোক না কেন তারা চিরকাল মানুষের মনের মধ্যে নন্দিত হয়। তবে দুরাচার ব্যক্তির নাম মানুষ স্মরণ করে না। কিন্তু তা প্রবল ঘৃণা করে রেখে দেয়। যেমন হিটলার, মীরজাফর , এজিদ সহ আরো অনেক কে নাম ঘৃণা ভলে মনে রাখে। অন্যদিকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নাম মাঁনুষ শ্রদ্ধা ভলে স্বরণ করে। কাজেই মানুষের জীবনকে দীর্ঘ বয়সের সীমারেখা দিয়ে পরিমাপ করা উচিত নয় বরং কীর্তিহীন কর্মহীন অলস লোক সমাজের বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়। 

পক্ষান্তরে, একজন স্বল্পায়ু ব্যক্তিত্ব সংক্ষিপ্ত জীবনে সমাজে অনেক কিছু দান করে অমরত্ব লাভ করে। কবি সুকান্ত মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা যান তারপরও তিনি অমর। কীর্তিমান মানুষের জীবনকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এরা কখনোই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন না। ইতর প্রাণীর মতো কেবল খেয়ে পড়ে বাঁচাতেই এরা জীবনের ধর্ম মনে করেন না। পৃথিবীর উন্নতির জন্য মানুষের কল্যাণের জন্য এরা এমনই কর্মযোগ্য পালন করে যান যা দেখে মানুষ বিস্মিত হয় পরবর্তীকালে মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এদের নাম কঠিন প্রস্তর দ্বারা মানুষ তৈরি করে এদেরই মূর্তি শিলাখণ্ডে লিখে রাখে। এদের কালজয়ী বাণী এটা পৃথিবীকে আলোকময় করেছেন। তাই বলা যায় মানুষ এর মত বাঁচা এবং গভীর বিরাট মহিমার সাথে জীবন ধারণ করার মধ্য লুকিয়ে আছে স্বার্থকতা। 

তাই কবি কণ্ঠে শুনি :

ধন্য নরকুলে, লোকে যারে নাহি ভুলে ,

মনের মন্দিরে নিত্য সেবে সর্বজন। 

মন্তব্য : মানুষের দেহ নশ্বর। কিন্তু কীর্তি অবিনশ্বর কীর্তি মানুষকে মহান করে তুলে এবং চির অমরত্ব এনে দেয়। তাই বলা হয়। কীর্তিমানের মৃত্যুর নেই।  মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্য বয়সের মধ্য নহে।

সম্পর্কিত পড়ুন ভাবসম্পসারণ: সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। 

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবসম্প্রসারণ এর সারাংশ 

কীর্তিমান মরে না" তারা মরেও অমর হয়ে থাকে পৃথিবীর বুকে ও মানুষের মুখে। কীর্তিমান তারাই যাঁরা পৃথিবীতে কীর্তি ঘরে গেছেন। যাঁরা পৃথিবীর জন্য এবং মানব জীবনের জন্য নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে অপরের জন্য করেছেন নিজের মূল্যবান মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে। তাদের কথা কেউ কখনো ভুলে না এবং ভুলতে পারে না। কীর্তিমানরা যুগ যুগ ধরে রয়ে যায় ইতিহাসের পাতায় তাঁদের নাম লেখা থাকায় স্বর্ণাক্ষরে বইয়ের পাতায় ইতিহাসের পাতায়। যাঁরা দিয়েছে জীবন দেশের মুক্তি সংগ্রামে। দিয়েছে জীবন ভাষা রক্ষার্তে এবং যারা করেছে আবিষ্কার তাঁরা মরে ও অমর এবং তারাই কীর্তিমান। তাইতো বলা হয়, কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। 

সম্পর্কিত আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের ভাষণ এবং ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url