মশা তাড়াতে গিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি - ডি ডেইলি লার্ন

প্রতিবছর মশাবাহিত রোগে লাখো মানুষ আক্রান্ত হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রতি গ্রীষ্ম-বর্ষায় নিয়মিত ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ইদানীং নতুন যোগ হয়েছে চিকুনগুনিয়া। পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গিয়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া। মশা তাড়ানোর জন্য আমরা নানা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। যেমন মশার কয়েল, স্প্রে, ত্বকে লাগানের লোশন ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা আবার নতুন স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছি।

মশা তাড়াতে গিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

কয়েল: ১০০ বছর ধরে এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে মশা তাড়ানোর কয়েল। এটি থেকে যে ধোঁয়া বেরোয়, তাতে বিদ্যমান রাসায়নিক উপাদান মশা তাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ধোঁয়া ফরমালডিহাইড, হাইড্রোকার্বনসহ আরও কিছু উপাদান থাকে, যেগুলো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যর ক্ষতিকর। হাঁপানি রোগীদের জন্য এই ধোঁয়া খারাপ। শিশুদের ধারে-কাছে কয়েল না জ্বালানোই ভালো।

আরো পড়ুন: ধূমপান ছাড়ার তিনটি কার্যকরী উপায়

স্প্রে: মশা তাড়াতে ব্যবহৃত বেশির ভাগ অ্যারোসল স্প্রেতে পাইরিথোয়েড নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে। এটা বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে মেশে ও মশা তাড়ায়। এমনিতে এর খুব ক্ষতিকর প্রভাব না থাকলেও একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের স্প্রে ব্যবহার হাঁপানি, ব্রংকাইটিস রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, শ্বাসনালির ইরিটেশন তৈরি করে, কখনো চোখ জ্বালা করতে পারে, কারও কারও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারও অ্যালার্জি হয়, সর্দিকাশি দেখা দেয়।

ক্রিম: মাশা তাড়ানোর অধিকাংশ ক্রিম বা লোশনে ডিট নামের এক ধরনের টলঅ্যামাইড থাকে। অনেকের ত্বকে এ থেকে ফুসকড়ি র‍্যাশ, চুলকানি, অ্যালার্জি ও চোখে সমস্যা হতে পারে।

উপায়: মশার হাত থেকে বাঁচার কোনো না কোনো পদ্ধতি অবলম্বন ছাড়া উপায় নেই। তাতে খানিকটা ঝুঁকি থাকলেও মশাবাহিত জটিল অসুখ-বিসুখ থেকে তো রেহাই মিলবে।

আরো পড়ুন: মানসিক চাপ এড়ানোর উপায়

পরামর্শ:

১. ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্প্রে করুন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যান। স্প্রে করার সময় এবং পরপরই ঘরে শিশুদের থাকতে দেবেন না। অন্তত দু-এক ঘণ্টা পর ঘরে প্রবেশ করুন এবং ফ্যানের হাওয়ায় ভাসমান কণাগুলোকে বেরিয়ে যেতে দিন।

২. কখনোই কাটা-ছেঁড়া বা অ্যালার্জিক ত্বকে ক্রিম লাগাবেন না। নির্দিষ্ট সময় পর ভালো করে সাবান পনি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলবেন। মুখমণ্ডল ও চোখের কাছে লাগাবেন না।

৩. সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো নিজেকে ও বাড়ির পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখা। মশারি টানিয়ে শোবেন। সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরুন।

আরো পড়ুন: পায়খানা ক্লিয়ার - কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url