প্রয়োজন অভাব ও চাহিদা কাকে বলে ও তাদের মধ্যে পার্থক্য

প্রয়োজন, অভাব এবং চাহিদা বাজারজাতকরণের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ধারণা এরা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে এবং প্রয়োজন অভাব ও চাহিদা কাকে বলে তা নিম্নে আলোচনা করা হল :

প্রয়োজন অভাব ও চাহিদা কাকে বলে ? প্রয়োজন অভাব ও চাহিদার পার্থক্য

প্রয়োজন অভাব ও চাহিদা কাকে বলে ?

প্রয়োজন: প্রয়োজন হলো এ ধরনের একটি মানসিক স্তর ,যে স্তরে মানুষের কাছে যে প্রয়োজন আছে এ ধরনের পণ্য বা সেবার থেকে নিজেকে বঞ্চিত মনে হলে তাকে প্রয়োজন বলে। আর মানুষের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে বিপণন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় মানুষের বহু জটিল প্রয়োজন রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য কাপড় থেকে শুরু করে সামাজিক মর্যাদা প্রযন্ত প্রসারিত। 

অভাব: প্রয়োজনভাবে  বিমুর্ত অনুভূতি সে তুলনায় অভাব অনেকটাই মূর্ত। প্রয়োজন যখন সমাজ সংস্কৃতি এবং ব্যক্তির স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব দ্বারা আবর্তিত হয়ে বাস্তবে প্রকাশ পায় তখন তাকে অভাব বলে। 

চাহিদা: চাহিদা সাধারণ অর্থে কোনো কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা কে চাহিদা বলে। সীমিত সম্পদের কারণে মানুষকে অসীম অভাব থেকে পূরণ করার মত কিছু অভাবকে নির্বাচন করতে হয়।যেসব অভাব পূরণ করা প্রয়োজন, যেগুলো পূরণের মত অর্থ আছে এমন ব্যক্তির অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা আছে, সেগুলি অভাব গুলোই হচ্ছে চাহিদা।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, বাজারজাতকরণ উপযুক্ত মূল ধারণা গুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এ ধারণা গুলো সম্পর্কে বিস্তৃত জ্ঞান থাকা অবশ্যক।

প্রয়োজন অভাব ও চাহিদার মধ্যে পার্থক্য :

বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রয়োজন অভাব ও চাহিদার পার্থক্যকে প্রথমে প্রয়োজন এর তারপর অভাব শেষে চাহিদার পার্থক্য দেওয়া হয়েছে।

সংজ্ঞা: 

প্রয়োজন+অভাব+চাহিদা

  • মানুষের জীবন ধারণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন দরকারটা তাকেই প্রয়োজন বলে। 
  • প্রয়োজন অনুভূত হওয়ার ধারণাকেই অভাব/আকাঙ্ক্ষা বলে। 
  • কোন একটি পণ্য ক্রয় করার ইচ্ছা সামর্থ্য যোগ্যতা ও অর্থ ব্যয় করাই হচ্ছে চাহিদা। 

উদাহরণ: 

  • খাদ্য বস্ত্র, ভালোবাসা ও জ্ঞান ইত্যাদি। 
  • ভাত, ফাস্টফুড, জামা ইত্যাদি
  • ক্রয়ের সামর্থ্য আছে যেমন পিজ্জা ও কেক 

সৃষ্টি:

  • প্রয়োজন মানুষের প্রথম অনুভূত হয়। 
  • প্রয়োজন মানুষের প্রথম অনুভূত হয়। 
  • প্রয়োজন অভাব থেকেই চাহিদা সৃষ্টি হয়। 

শ্রেণী :

  • তিন প্রকার যথা দৈহিক সামাজিক ও ব্যক্তিগত।
  • দুই প্রকার যথা মুখ্য ও গণ্য।
  • দুই প্রকার স্থিতিস্থাপক ও অস্থিতিস্থাপক।

নির্দেশ :

  • প্রয়োজন অভাব কি নির্দেশ করে। 
  • অভাব প্রয়োজন কে নির্দেশ করে।
  • চাহিদা প্রয়োজন ও অভাব কে নির্দেশ করে। 

জীবন যাত্রার মান :

  • তেমন প্রভাব পড়ে না।
  • গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। 
  • গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সম্পৃক্ততা :

  • ব্যক্তির নিজস্ব সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত। 
  • নিজস্ব সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। 
  • নিজস্ব সংস্কৃতি ও ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত।

আওতা :

  • এর আওতা স্বল্প।
  • এর আওতা ব্যাপক।
  • এর আওতা ব্যাপক।

স্তর :

  • মানবিক বা বিমুর্ত স্তর।
  • মূর্ত স্তর।
  • এখানে ব্যক্তি নির্দিষ্ট পণ্যের চাহিদা নির্দেশ করে। 

নিয়ন্ত্রণ:

  • প্রয়োজনে অভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।
  • অভাব মানুষের প্রয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত।
  • চাহিদা আকাঙ্ক্ষা কে নিয়ন্ত্রণ করে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, প্রয়োজন আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও এরা একে অপরের সাথে জড়িত।

আরো পড়ুন: জেনে নিন একমালিকানা ব্যবসায়ের ধারণা 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url