৭ই মার্চের ভাষণ এবং ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য | দি ডেইলি লার্ন
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ই মার্চের ভাষণ নামে খ্যাত। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি বাঙালি জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। ১৮ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভাষণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
৭ই মার্চের ভাষণ এবং ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব: যদিও ২৫ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম নিচে মুক্তিযুদ্ধে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।
৭ই মার্চের ভাষণের মূল বক্তব্য: মুক্তিযোদ্ধা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর শুরু হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সূচনা হয়।
তিনি তার ভাষণের মধ্যে স্বাধীনতার কথা উচ্চারণ করেছিলেন। এই ভাষণে তিনি বলেন, "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, "এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তার এই স্বাধীনতার সংগ্রামী বাণী লাখো লাখো লাখো তরুণ, বৃদ্ধ ও ছাত্র সমাজ মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য অণুপ্রাণিত হয়। এ সাধীনতার ডাকেই বাংলার সব মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে এবং অর্জিত হয় এই স্বাধীনতা।
মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা প্রদান: ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তা নয় মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ বেতার প্রচার করেছিল। যার ফলে মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বংশ গ্রহণকারী মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং অনন্য সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অণুপ্রাণিত হয়। যার ফলে মুক্তিকামী মানুষ প্রবল উদ্যমে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ঝাপিয়ে পরে। তাই মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা প্রদানে ও বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম।
যুদ্ধের প্রস্তুতের ক্ষেত্রে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব: বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে ঘোষণা করেন যে, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যা আছে তাই নিয়ে শুক্র মোকাবেলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো কিন্তু এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বে ইনশাল্লাহ। বঙ্গবন্ধু এভাবেই মূলত দেশের সবাইকে মুক্তিযুদ্ধে আহবান জানান। তিনি মুক্তি সংগ্রামের জন্য সকলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এর ফলস্রুতিতে দেশের সব জায়গায় যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় এবং ২৬ শে মার্চের পর সশস্ত্র শুরু হয়ে যায়। তাই যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বে ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম।
মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ: প্রত্যেক বাঙালি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিল। নিরস্ত্র বাঙ্গালীর প্রস্তুতির বিপরীতে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা আগেই বুঝতে পারেন। তাই তিনি ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য নির্দেশ দেন তিনি তার ৭ই মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নির্দেশ দিয়ে বলেন আর যদি একটি গুলি চলে আর যদি আমার কোনো লোককে হত্যা করা হয় তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। "রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব , এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বেন ইনশাল্লাহ।"
৭ই মার্চের ভাষণে দেশপ্রেমের বাণী: বঙ্গবন্ধু তার ৭ই মার্চের ভাষণে ব্যক্তি বা দলের চেয়ে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন দেশের প্রাধান্যকে। তিনি ক্ষমতা চাননি শুধু চেয়েছেন দেশের জনগণের মুক্তি এবং প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন এদেশের মানুষের অধিকার। তিনি জনগণের মাঝে দেশ প্রেমের বাণী প্রচার করেছেন ৭ই মার্চের তিনি আরো বলেন আমি তো চাই না আমি আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা আমি দেশের মানুষের অধিকার চাই এবং তাদের মুক্তি চাই।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাস ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষায় গৌরবময় ও উজ্জ্বল এক অধ্যায়। যেহেতু এই ঐতিহাসিক ভাষণের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং পরিবেশকে রক্ষার জন্য মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্মহয়। আর এই মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা এবং বাঙালি জাতির জন্য ভবিষ্যৎ কর্ম পন্থা নির্ধারণের তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় মোটকথা, বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির সাহিত্য সংস্কৃতি রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url