জুমার দিনের বিশেষ আমল ও ফজিলত

ইসলামের দৃষ্টিতে সপ্তাহের বরকতময় শ্রেষ্ট দিন হল পবিত্র শুক্রবার বা জুমাবার দিন। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ। জুমার দিনের আমল ও ফজিলত অনন্য দিনের তুলনায় অত্যন্ত বেশি।

জুমার দিনের আমল ও ফজিলত

জুমার দিনের ফজিলত

মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনেই হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে বেহেশতে স্থান দেওয়া হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে বেহেশত থেকে বের করে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল এবং এই দিনেই কেয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে।

আরো পড়ুন: জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত

সৌভাগ্যের মধ্যেই রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের অগণিত ও অফুরন্ত কল্যাণ। হজরত নবী করিম (সা.) বলেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন একজন মুমিন আল্লাহর দরবারে যা চাইবে তাই পাবে। এই সময় নির্দিষ্ট করা হয় না. যে ইমামগণ হাদিসটি ব্যাখ্যা করেছেন তারা তা উল্লেখ করার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভিন্নতা পোষণ করেছেন। তাদের মধ্যে দুটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। একটি হল খুতবা শুরু ও নামাযের শেষের মধ্যবর্তী সময়। - দ্বিতীয়টি হল যে সময়টি দিনের শেষে। এই দ্বিতীয় মতটি আলেমদের একটি বড় দল গ্রহণ করেছে এবং এর পক্ষে অনেক সহীহ হাদীস রয়েছে। শায়খ মুহাদ্দেছ দেহলভী (রহঃ) বলেন, এই রেওয়ায়েতটি সহীহ। কেননা হযরত ফাতিমা (রাঃ) জুমুআর দিনে খাদেমকে বলতেন যে, জুমুআর দিন কখন শেষ হবে আমাকে খবর দিও। হযরত ফাতিমা (রা.) জুমার দিন আছরের পর যাবতীয় কাজ ত্যাগ করে আল্লাহর যিকিরে মশগুল হতেন।: বোখারী।

আরো পড়ুন: শিশুর আকিকা দেওয়ার নিয়ম ও ইসলামের বিধান

জুমার দিনের বিশেষ আমল 

মহানবী (সা.) বলেছেন, জুমার দিন হলো সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ দিন। এই দিনে কেয়ামতের জন্য শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে আমার জন্য বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করো। সেদিন দুরূদ পাঠ করার সাথে সাথে তা আমার সামনে পেশ করা হয়। সাহাবীগণ দোয়া করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এটা কিভাবে আপনার কাছে উপস্থাপন করা হয়? মৃত্যুর পর তোমার হাড়ও থাকবে না। অতঃপর মহানবী (সা.) বললেন, মহানবী (সা.)-এর দেহ  নবীদের দেহ জমিনের জন্য হজম করা আল্লাহ হারাম করেছেন। : আবু দাউদ শরীফ। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহ তাঁর পবিত্র কালামে শহীদ (আ) শব্দের কসম খেয়েছেন। এর অর্থ শুক্রবার। আল্লাহর কাছে শুক্রবারের চেয়ে উত্তম দিন আর নেই। এই দিনে এমন একটি সময় আছে যখন যে কোনো মুমিন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। যা কিছু হোক না কেন, তিনি তা কবুল করবেন এবং সে যদি কোনো বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে, তবে আল্লাহ অবশ্যই তাকে সেই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।

আরো পড়ুন: কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম ও নিয়ত

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url