জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত

শুক্রবার বা জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। জুম্মার দিনে জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত রয়েছে যা পালন করা অধিক উত্তম ও সওয়াবের। জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ ও বরকতময় দিন। মহানবী (সা.) বলেছেন, হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এবং এই দিনেই কেয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে। জুমার দিন অধিক বরকতময় ও আল্লাহর নিকট একটি শ্রেষ্ট গ্রহণযোগ্য দিন ও আল্লাহর নিকট দোয়া কবুলের দিন।

জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত

জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত

১. ফজরের নামাজ জামাতে আদায় : জুম্মার দিনের প্রথম সুন্নত হলো ফজরের জামাতে আদায় করা। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নামাজ আদায় করা ফরজ। তবে, অনন্য দিনের মতো দেরি না করে জামাতে সালাত আদায় করাই উত্তম।

২. মেসওয়াক: জুমার নামাযে ওযুর আগে মেসওয়াক করা উত্তম। অনন্য ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পূর্বে ও মেসওয়াক করা উত্তম। যা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) একটি সুন্নত।

আরো পড়ুন: কাজা নামাজ আদায়ের নিয়ম ও নিয়ত

৩. তেল মালিশ (অলিভ অয়েল): প্রতি শুক্রবার, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) চুল, শরীর এবং দাড়িতে অলিভ অয়েল দিতেন। এটিও জুমার দিনের একটি সুন্নত।

৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা : জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে শরীরে সুগন্ধি বা আতর ব্যবহার করা।

৫. উত্তম পোশাক পরিধান : জুমার দিনে সর্বোত্তম ও পবিত্র পোশাক পরিধান করা উত্তম।

৬. বেশি বেশি দরূদ পড়া: জুম্মার দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর দরূদ পাঠ করা অধিক সওয়াবের কাজ।

৭. সূরা আল-কাহফ পাঠ: জুমার দিনে বেশি বেশি সূরা কাহাফ তেলওয়াত করা অধিক সওয়াবের। তাই এই সূরা অধিক বার পাঠ করুন এটি জুমার দিনের অন্যতম একটি সুন্নত।

আরো পড়ুন: হজ পালনের নিয়ম ও হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত। 

৮. মসজিদে অবস্থান: জুমার দিনে সবার আগে মসজিদে অবস্থান করা উত্তম এবং হাদিসে উল্লেখিত যে, প্রথম যে ব্যক্তি মসজিদে যায় সে একটি উট কোরবানি করার  করার সওয়াব পেয়ে থাকেন। তাই , সবার পূর্বে মসজিদে অবস্থান করুন।

৯. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া: জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া উত্তম। এবং অধিক সওয়াবের। কোনো ধরণের যানবাহন  ব্যবহার না করাই উত্তম। হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফলে আল্লাহ তাঁয়ালা প্রতি কদমে কদমে নেকি দান করেন।

১০. মসজিদে প্রবেশের পর অন্যকে অতিক্ক্রম না করে সামনে বসা : মসজিদে যাওয়ার পর পিছনে খালি জায়গায় বসা। অন্য মুসল্লিদের অতিক্ক্রম না করা।

১১. দুই রাকাত সুন্নত নামায আদায়: মসজিদে প্রবেশ করার পর দুই রাকাত সুন্নাত নামায আদায় করা। আর এই নামাযকে অজুর সুন্নাত নামাযও বলা হয়। যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক নামাযের আগে বা সর্বদা ওযুর পরে আদায় করতেন।

১২. মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনা : জুমার নামাজের খুতবা শোনা ওয়াজিব। মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনা এবং খুতবা চলাকালীন খোশগল্প না করা অর্থাৎ কথা না বলা।

আরো পড়ুন: শিশুর আকিকা দেওয়ার নিয়ম ও ইসলামের বিধান

১৩. দোয়া করা : মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকআত নামাজ আদায় করে দুরুদ পড়া এবং খুৎবা চলাকালীন সময়ে মনে মনে দোয়া করা এবং নামাজ শেষে দুরূদশরীফ পড়ে আল্লাহর নিকট দোয়া করা।

১৪. ঘুমের অনুভূতি অনুভব হলে স্থান পরিবর্তন করা: খুতবা পাঠের সময় ঘুমের অনুভূতি অনুভব করলে স্থান পরিবর্তন করা, এবং চোখ এ পানি দেওয়া।

১৫. আসরের পর সুর্য্যস্থের পূর্বে আগে নামাজ আদায় করা ও দোয়া করা : প্রার্থনা কবুলের জন্য একটি উত্তম দিন জুমাবার দিন। আলেমগণের মতে সুর্য্যস্থের পূর্বে নামাজ পড়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url