ঘাড়ব্যথা হলে করণীয় ও ঘাড় ব্যথা কমাতে ৫ টি পরামর্শ

ঘাড় ব্যথা

যাঁরা সারা দিন টেবিলে বা কম্পিউটারে কাজ করেন, ঘাড় ও হাতব্যথা তাঁদের একটি পরিচিত সমস্যা। অফিস থেকে ফিরে ঘাড়, কাঁধ ব্যথায় অল্পবিস্তর অনেকেই ভুগেন। এর বেশির ভাগটাই কাজের সময় ভুল দেহভঙ্গির জন্য। সবারই যে ঘাড়ের মেরুদণ্ডে সমস্যা আছে তা নয়। আবার সমস্যা থাকলেও এভাবে কাজ করার কারণে সমস্যা বেড়ে যায়।

তাই জেনে নিন ঘাড়ব্যথা হলে করণীয় ? 

যারা ঘাড়ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন, ঘাড়ব্যথা হলে তাদের কিছু করণীয় রয়েছে প্রথমে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকা যেমন: সেলাই , টিউবওয়েল চাপা, পানির পাম্প চালু করা, বালতি বা কলসি বহন করা এবং নিচু হয়ে বসে কাপড় ধোয়ার মতো কাজ এড়িয়ে চলাই ভালো। মাথায়, ঘাড়ে বা হাতে বাড়তি ওজন বহন না করাই উচিত হবে। নিচু হয়ে বঁটিতে কাটাকাটি, বাটনা করা কিংবা কুলা দিয়ে ঝাড়ার মতো কাজ সমস্যা বাড়াবে। এসব কাজ থেকে সাময়িক বিরতি নিন। পড়ার টেবিল বুকসমান উচ্চতায় হতে হবে।

আরো পড়ুন: পায়ের গোড়ালি ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

ঘাড়ব্যথা হলে করণীয়

কম্পিউটার, টেলিভিশন, অসমান রাস্তায় চলাচল ও ঝাঁকুনি ব্যথা বাড়বে। গাড়ি বা বাসের সামনের সিট আপনার জন্য ভালো। গাড়ি, মোটারসাইকেল বা বাইসাইকেল চালানো উচিত নয় এ সময়। ঘাড়ের বেল্ট বা সারভাইক্যাল কলার পরলে আরাম পাবেন। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় এটি গলায় পড়ুন। তবে শোয়ার সময় পরা যাবে না। ব্যথা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলেও উপকার পাবেন।

ঘাড়ব্যথা কমাতে ৫ টি পরামর্শ

লোখাপড়া বা সাধারণ কাজকর্মের সময় বসার ভঙ্গি বা শরীর ত্রুটিপূর্ণ অবস্থানে রাখার কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয়। এই পরিস্থিতিতে অভ্যাস পাল্টে সুফল মিলতে পারে।

১. একই ভঙ্গিতে ঘাড় গুজে ঘণ্টার পর ঘন্টা কাজ করবেন না। অফিসে ডেস্ক বা কম্পিউটারে কেউ কেউ ঘাড় নিচু বা বাঁকা করে কাজ করেন। সে রকম হলে প্রতি ঘণ্টায় একবার হলেও বিরতি নিন। ঘাড়ের হালকা ব্যায়াম করুন বা এদিক-ওদিক একটু ঘুরে আসুন।

আরো পড়ুন: হাঁটুব্যথার কারণ ও হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়। 

২. অফিসে কম্পিউটারের মনিটর আপনার চোখের সোজাসুজি রাখুন। আর নিজের ঘরে ল্যাপটপে যখন কাজ করছেন, তখন টেবিল ব্যবহার করুন বা কোলের ওপর একটা বালিশ রেখে তার ওপর ল্যাপটপ রাখুন। ঘাড় আর মাথার ফাঁকে ফোন ধরে একদিকে ঘাড় বাঁকিয়ে কথা বলবেন না। দীর্ঘ সময় হাত দিয়ে ফোন ধরে রাখাও ঠিক নয়। এসব ক্ষেত্রে ইয়ার পড় ব্যবহার করতে পারেন।

৩. রাতে ঘুমোবার সময় অনেক বালিশ ব্যবহার করবেন না। এতে ঘাড়ের হাড়ে চাপ পড়ে। পাতলা একটা বালিশ ব্যবহার করুন যেন মেরুদণ্ড সোজা থাকে।

আরো পড়ুন: মধু খাওয়ার যত উপকারিতা ও অপকারিতা

৪. চোখের সমস্যার জন্য আমরা অনেক সময় ঘাড় পেছনে হেলে দেখতে চেষ্টা করি। এ রকম ক্ষেত্রে চোখ পরীক্ষা করান, প্রয়োজনে চশমা ব্যবহার করুন।

৫. টিভি দেখা, গান শোনা বা অলস সময় যাপন করার সময় সোফায় বাঁকা হয়ে শোবেন না। চেয়ার বা সোফায় সোজা হয়ে বা হেলান দিয়ে বসুন। মাঝে মাঝে বিরতি নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url