হাঁটুব্যথার কারণ ও হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
হাঁটু ব্যথা হওয়ার কারণ বিভিন্ন হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে আঘাতজনিত হাঁটুর ব্যথা: হাঁটুর যেকোনো অংশে আঘাতের কারণে এই ধরনের ব্যথা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
মেনিস্কাস টিয়ার: মেনিস্কাস হল একটি নরম, স্থিতিস্থাপক কাঠামো যা হাঁটুর দুটি হাড়ের মধ্যে অবস্থিত। এটি হাঁটুর শক শোষণ এবং গতিশীলতায় সহায়তা করে। যখন মেনিস্কাস ছিঁড়ে যায়, তখন হাঁটুতে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্থিরতা অনুভব করতে পারে।
মেনিস্কাস টিয়ার: মেনিস্কাস হল একটি নরম, স্থিতিস্থাপক কাঠামো যা হাঁটুর দুটি হাড়ের মধ্যে অবস্থিত। এটি হাঁটুর শক শোষণ এবং গতিশীলতায় সহায়তা করে। যখন মেনিস্কাস ছিঁড়ে যায়, তখন হাঁটুতে তীব্র ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্থিরতা অনুভব করতে পারে।
লিগামেন্ট টিয়ার: লিগামেন্ট হল শক্ত, ইলাস্টিক টিস্যু যা হাড়ের সাথে হাড়কে সংযুক্ত করে। যখন হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়, তখন হাঁটু ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্থিরতা অনুভব করতে পারে।
আরো পড়ুন: ঘরোয়া ভাবে রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর উপায়।
ভাঙ্গা হাড়: একটি ভাঙা হাঁটু হাড় একটি গুরুতর আঘাত। এটি গুরুতর ব্যথা, ফোলাভাব এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
পুরাণো চোট: যদি আপনি একটি হাঁটুতে চোট পেয়েছেন অথবা পুরানো চোটের ফলে হাঁটু ব্যথা অনুভব হতে পারে।
হাঁটুব্যথার কারণ ও হাটুর ব্যাথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য নিয়মিত হাঁটাহাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটলে শরীরের ওজন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কমবে হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের (স্ট্রোক) ঝুঁকি। কথাটা অনেকে জানলেও হাঁটতে চান না। না হাঁটার পক্ষে তাদের নানা অজুহাত থাকে। এসবের মধ্যে হাঁটুব্যথার জন্য হাঁটাহাঁটি বন্ধ রাখার প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
হাঁটুব্যথা হয় সাধারণত অস্টিওআথ্রাইটিসের কারণে। মধ্যবয়সের পরে হাঁটু, কোমর বা পায়ের জোড়া বা সন্ধি বুড়িয়ে যেতে পারে। অস্থিসন্ধিতে দুই হাড়ের মাঝে যে পিচ্ছিল তরল থাকে, তা নড়াচড়ার সময় হাড়ের পরস্পর ঘর্ষণে বাধা দেয়। কিন্তু এই তরল পদার্থ শুকিয়ে গেলে হাড়ের ঘর্ষণে তরুণাস্থি ব্যথা হয়। তখনই শুরু হয় হাঁটুর যন্ত্রণা। বিশেষত মাঝবয়সী নারী, যাদের শরীরের ওজন বেশি-তারাই এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। তাই দেখা যাচ্ছে, হাঁটুব্যথা কমাতে হলে আপনার শরীরের ওজন কমানো জরুরি। আর ওজন কমাতে কার্যকর একটি উপায় হলো হাঁটা।
একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় আধা কেজি ওজন কমালে হাঁটুর ওপর চাপ প্রায় চারগুণ কমে। তা ছাড়া নিয়মিত হাঁটলে পায়ের মাংসপেশি সুগঠিত হয়ে হাঁটুর ওপর চাপ কমে এবং অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা বাড়ে। হাঁটুর ব্যথার অনেক রোগী নিয়মিত না হেঁটে হঠাৎ একদিন অনেক বেশি হেঁটে ফেলেন। ফলে হঠাৎ করে হাঁটুর ওপর চাপ বেড়ে গিয়ে প্রদাহ বেড়ে যায়, বাড়ে ব্যথাও । এর ফলে ওই রোগী পরবর্তী সময়েও হাঁটতে ভয় পান। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে। প্রথমেই হাঁটার জন্য মসৃণ, সমান্তরাল পথ বেছে নিন। নরম ও আরামদায়ক জুতা পরুন।
আরো পড়ুন: জন্ডিস এর লক্ষণ ও জন্ডিস হলে করনীয়।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url