স্ট্রোক এর লক্ষণ কি ও স্ট্রোক হলে করনীয়

স্ট্রোক 

স্ট্রোক সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারনা আছে। হার্ট এটাককে স্ট্রোক বলে কিছু লোক। আসলে স্ট্রোক ব্রেনের অসুখ। স্ট্রোকে ব্রেইনে রক্ত সরবরাহ কমে গিয়ে ব্রেইন কোষ (পবষষ) মরে যায়। আর হার্ট এটাকে হার্টের রক্ত সরবরাহ কমে যায়। 

কি হয় স্ট্রোকে? 

হঠাৎ করে মুখের এক অংশ বিবশ হয়, দূর্বল হয়ে যায় একই পাশের হাত পা। চলতশক্তিহীন হয়ে পড়ে শরীরের অর্ধেক অংশ। হঠাৎই বিহ্বল হয়ে পরে, কথা বলতে পারেনা, কষ্ট করে বলে বা বললে বোঝা যায় না। হঠাৎ করেই দৃষ্টি ঝাপসা হয় বা দেখতে সমস্যা হয় এক বা অন্য চোখে। হঠাৎ করে হাটতে পারেনা, কষ্ট হয় হাটতে, উঠে দাঁড়াতে, ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে। কোন পূর্বাভাস ছাড়া তীব্র মাথা ব্যাথা ও স্ট্রোকের লক্ষণ হঠাৎ করে ঘটে যাওয়াটাই স্ট্রোকের বৈশিষ্ট্য।

স্ট্রোক এর লক্ষণ কি ও স্ট্রোক হলে করনীয়

স্ট্রোক এর লক্ষণ কি ? 

১। হাঁসতে বলেন বা দাঁত দেখাতে বলেন-মুখের এক কোনা এক দিকে ঝুলে যাবে। ২। দুই হাত উপরে তুলতে বলেন-এক হাত পরে যাবে।

৩। কিছু একটা বাক্য বলতে বলেন-ভাঙ্গা কথা আসবে বা অস্পষ্ট/অদ্ভুত কথা শোনা যাবে যে কোন একটা হলে স্ট্রোক মনে করে হাসপাতালের ইমার্জেপীতে যাবেন বা সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। 

আরো পড়ুন: শরীর দুর্বল হলে করণীয় কি ?

স্ট্রোক কেন হয় ? 

দুই ভাবে রক্ত সরবরাহ কমে ব্রেইনে। রক্তনালী বন্ধ হয়ে যেটাকে বলে ইশকিমিক স্ট্রোক। ব্রেইনের কোন অংশে রক্ত ক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হলে সেটা হোল হিমরেজিক স্ট্রোক। ট্রানসিয়েন্ট ইশকিমিক এটাকে একই রকম সবকিছু হয় তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সবকিছু পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে যায়। 

স্ট্রোকের কারন: স্ট্রোকের প্রধান কারন উচ্চ রক্তচাপ তবে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ধূমপান ঝুঁকি বহুগুন বাড়িয়ে দিয়। একবার স্ট্রোক হলে দ্বিতীয়বার হবার সম্ভাবনা ২-৩ গুন বাড়ে। সব কিছুর সাথে যে কোন একটিব সাথে স্ট্রেস বা টেনশন যোগ হলে স্ট্রোক করার সমূহ সম্ভাবনা। 

আরো পড়ুন: শরীর ফিট রাখার 10 টি উপায়। 

স্ট্রোকের পরিনতি 

রোগী সাথে সাথে মৃত্যু বরন করতে পারে। শয্যাশায়ী হয়ে থাকতে হতে পারে বহুদিন/আজীবন। এক পাশ দূর্বল নিয়ে কাজ কর্ম করে খেতে পারে। জীবন ভর উন্নতি হতে থাকে অনেকের। তবে বেশীর ভাগই শেষ পর্যন্ত আংশিক দূর্বলতা থাকে।

ডায়াগনোসিস

ইমেজিং-সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করে নিশ্চিত ডায়াগনোসিস করা সম্ভব। হিমোরেজ হলে সাথে সাথে ধরা পরে। ইশকেমিক স্ট্রোকের ইমেজ আসতে অনেক সময় ৭২ ঘন্টা পর্যড় সময় লেগে যায়। উপসর্গ থাকলে সিটি স্ক্যান স্বাভাবিক থাকলে ও তাই ইশকেমিক স্ট্রোক বলে চিকিৎসা দিতে হয়। ব্রেনের মধ্যে খুব ছোট ক্ষত হলে বা ব্রেনের নীচের অংশে কিছু হলে এম আর আই দরকার হয়। 

আরো পড়ুন: হেপাটাইটিস বি এর লক্ষণ সমূহ। 

প্রতিরোধ: স্ট্রোক যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ঝুঁকি গুলো কমাতে হবে। স্ট্রেস বা মানসিক চাপ এড়িয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনের অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। প্রয়োজন মত স্টাটিন খেতে হবে। স্ট্রোক না হলে এস্পিরিন নয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url