গর্ভবতী মহিলাদের কিছু ব্যায়াম। দি ডেইলি লার্ন
গর্ভবতী মায়েরা সামান্য কিছু ব্যায়াম অনুসরণ করে এবং ব্যায়ামের দ্বারাই গর্ভবতী মায়েরা শরীরকে পুরোপরি সুস্থ ও সবল রাখতে পারেন। প্রথম সন্তান প্রসব কালীন সময়ে সাধারণত সব মেয়েরই মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। তাই এই গর্ভাবস্থায় কিছু ব্যায়াম করার মাধ্যমে পেটের মাংসপেশীকে মজবুত রেখে শিশুর সঠিক বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারেন। এছাড়া পেলভিস মাংসপেশীর স্থিতিস্থাপকতা ঠিক রেখে নিরাপদে প্রসব করতে পারেন। গর্ববতী মায়েদের মনে রাখতে হবে যে, গর্ভাবস্থায় সঠিকভাবে দম নেয়া উচিত। তাতে শরীরের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে এবং ব্যায়ামের ফলে শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় বলে শরীর সুস্থ ও সবল রাখে। তাই সর্বনিম্ন প্রতিদিন ১০/১৫ মিনিটের মতো ব্যায়ামই যথেষ্ট, এর বেশি করার প্রয়োজন নেই গর্ববতী মায়েদের। তবে, দীর্ঘক্ষন ব্যায়াম গর্ভবতী মায়েদের জন্যে খুবই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী কালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের যা যা করণীয়।
গর্ভবতী মায়েদের ব্যায়াম করার সঠিক সময়।
গবেষণায় বলা হয়, গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করা উচিত। গর্ভবতী মহিলারা ব্যায়াম শেষে অবশ্যই ১০ মিনিট শবাসনে বিশ্রাম নিন এবং মনে মনে এ অবস্থা কল্পনা করুন- পরম করুণাময় আপনাকে একটি সুস্থ সুন্দর মেধাবী শিশু প্রসব করার ক্ষমতা দিয়েছেন। আপনি বেশ ভালো বোধ করছেন। ব্যায়াম শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম নেয়ার পরে হালকা কুসুম কুসম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন অথবা তোয়ালে ভিজিয়ে সমস্ত শরীর মুছে ফেলুন। স্বাভাবিক মহিলাদের মতো গর্ভবতী মায়েরাও ব্যায়ামের সময় খোলামেলা আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে ব্যায়াম করুন। ঠান্ডা বা শীতকালীন সময় ঘরে ব্যায়াম করার পূর্বে বাতাস চলাচল করিয়ে নিয়ে ব্যায়াম করা উত্তম।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ - গর্ভধারণের প্রাথমিক তথ্য।
শেষ কথা হলো, বিশেষ ভাবে মনে রাখা প্রয়োজন, ব্যায়াম করার পূর্বে গর্ভধারিণীর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা উচিত। সবসময় ডাক্তারের পরামর্শে চলা উচিত গর্ভকালীন সময়ে। ১৫ দিন পর পর ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তারের পরামর্শে ৯ মাস পর্যন্ত ব্যায়াম করতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন ডাক্তার যদি আপনাকে ব্যায়াম করতে নিষেধ করেন কিংবা নির্দিষ্ট ব্যায়ামগুলোর মধ্যে যে কোনোটি বিশেষভাবে বারণ করেন তাহলে করবেন না। কেননা একজন চিকিৎসকই এসময় আপনার সম্পর্কে এবং অভ্যন্তরীণ শিশুর পজিশন সম্পর্কে ভালো বুঝবেন। নিজে নিজে ব্যায়াম করতে গিয়ে হিতে বিপরীত করবেন না। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতা দেখা যায়। যেমন কারো কারো বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় রক্তস্রাব একটু একটু করে হয়ে থাকে। আরও নানান অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় এসব মহিলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকগণ সম্পূর্ণরূপে বেড রেস্ট নিতে বলেন। কাজেই যদি আপনার কখনো এরকম অবস্থা হয় আর আপনি ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েরা সবসময় ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যায়াম করবেন। পরবর্তী অধ্যায়ে গর্ভবতী মায়েদের জন্যে কিছু ব্যায়াম করার পদ্ধতি আলোচনা করা হলো, যা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করতে পারেন।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা ও নিষিদ্ধ খাবার তালিকা।
বি.দ্র.: গর্ভাবস্থায় কোনো মতেই তাড়াহুড়ো করে ব্যায়াম করা উচিত নয়। প্রতিটি ব্যায়াম করার পর ২০/৩০ সেকেন্ড বিশ্রাম নিয়ে তবে অন্য একটি ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামের সময় আরামদায়ক পোশাক পরা উচিত।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url