গর্ভবতী কালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের যা যা করণীয়
গর্ভবতী মায়ের যত্ন সন্তান জন্ম হওয়ার সময় প্রস্তুতির প্রতি খুবই যত্ন নিতে হয়। এ সময়টা মহিলাদের জন্য এমন এক কঠিন সময় যে, এ সময় একটু মাত্র অবহেলা করলে। সন্তান ও তার মাতা উভয়েরই বিপদের সম্ভাবনা থাকে। একটু অসতর্কতার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ সময় অভিজ্ঞ ধাত্রীর সন্ধান রাখতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ ডাক্তার, নার্সদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা উচিত সহ্য ক্ষমতা যাদের বেশী এমন মহিলাদের প্রসূতির নিকটে রাখতে হবে। যাতে প্রয়োজন অনুসারে জরুরী কাজকর্ম করতে পারে।
আরো পড়ুন: মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
প্রসব ব্যথা শুরু হলে অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং ধাত্রীর পরামর্শ মোতাবেক কাজ করতে হবে। কোন পরহেযগার আলেমের নিকট থেকে পানি পড়া নিয়ে রাখা যায়। এতে মহান আল্লাহর কৃপায় সহজে সন্তান প্রসব হবে। সাধারণত পরহেযগার আলেমগণ একগ্লাস পানিতে সূরা ফাতিহা একবার এবং সূরা ইয়াসীন দুই মুবিন পর্যন্ত পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে সে পানি প্রসূতিকে পান করালে মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে খুব সহজে সন্তান প্রসব হবে। এ আমল সাধারণত নিজেরাও করা যায় । এতে অনেক সময় বিপদ মুহূর্তে উপকারে আসে।
আরো পড়ুন: গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ - গর্ভধারণের প্রাথমিক তথ্য
গর্ভবতী মায়েদের যা যা করণীয়
নিয়মিত চেক আপ : গর্ভাবস্থায় প্রথম সাত মাস পর্যন্ত প্রতিমাসে একবার, পরবর্তী দুই মাস ১৫ দিনে একবার এবং এরপর প্রতি সপ্তাহে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
বিভিন্ন প্রতিকুল অবস্থা যেমন-যোগাযোগ সমস্যা, ডাক্তারের অপ্রতুলতা, অর্থনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি কারণে উপরোল্লিখিত সময়ানুযায়ী চেক আপ করানো সম্ভব না হলে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের দেয়া উল্লেখিত পাঁচবার চেক আপ করানো অত্যাবশ্যকীয়। এতে সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়।
প্রথম সাক্ষাত : ১২ সপ্তাহ বা তার পূর্বে, ২য় সাক্ষাত : ২০-২২ সপ্তাহের মধ্যে, ৩য় সাক্ষাত : ২৮ থেকে ৩২ সপ্তাহ এর মধ্যে ৪র্থ সাক্ষাত ঃ ৩৪ থেকে ৩৬ সপ্তাহ এর মধ্যে, ৫ম সাক্ষাত : ৩৮ থেকে ৪০ সপ্তাহ এর মধ্যে।
আরো পড়ুন: গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা ও নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url