রচনা : নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূস 

• তোমার প্রিয় অর্থনীতিবিদ

• তোমার প্রিয় নোবেল বিজয়ী বাঙালি 

সংকেত: ভূমিকা-জন্ম ও বংশ পরিচয়-শিক্ষাজীবন মায়ের আদর্শ কর্মজীবন মুক্তিযুদ্ধে ইউনুস-দারিদ্র্য শান্তির জন্য হুমকি-সত্যপ্রিয় ইউনুস-মানুষের শক্তিতে বিশ্বাসী - ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক -পুরস্কার ও সম্মানলাত-উপসংহার।

রচনা : নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মুহাম্মদ ইউনূস

ভূমিকা: পৃথিবী থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অভাবের চিরবিদায়ী কান্ডারি, সহস্রাব্দের তৃর্যবাদক, শতাব্দীর বার্তাবাহক ছ মুহম্মদ ইউনুস। অশান্তির মূল উৎস দারিদ্র্য। এ সত্যকে অনুধাবন করে দুর্ভাগা মানুষের দুয়ারে কর্ম প্রচেষ্টা ও নতুন উদ্যম নিয়ে হাজির হলেন ড. মুহম্মদ ইউনূস। দারিদ্রদ্র্য নিরসনের লক্ষ্যে দর্শন নিয়ে বিশ্ব মানবের কল্যাণে অবতীর্ণ হলেন তিনি, দরিদ্র মানুষকে শোনালেন আশার বাণী।

জন্ম ও বংশ পরিচয়: ২০০৬ খ্রিস্টাব্দের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলার মপ্নের পুরুষ ড. মুহম্মদ ইউনুস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন বাথুয়া গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মুহাম্মদ দুলা মিয়া এবং মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন। 

শিক্ষাজীবন: গ্রামের মহাজন ফকির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রথম হন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি ৩৯ হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন। চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। অতঃপর তিনি ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি স্কাউটে যোগদান করে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, যুগোস্লাভিয়া, হল্যান্ড, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, গ্রিস, তুরস্ক, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাক ভ্রমণ করেন। ১৯৬৯ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারফিন্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। 

আরো পড়ুন: স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট ( ক্লাস- 7, 8, 9, 10, 11, 12)

মায়ের আদর্শ: মায়ের আদর্শ তাঁর জীবনের বড় পাথেয়। মা সুফিয়া খাতুনের মানবপ্রেম তিনি পুরোটাই রপ্ত করতে পেরেছেন। তাঁর মা যেমন কোনো গরিবকে কখনো বাড়ির দরজা থেকে ফিরিয়ে দেন নি, তেমনি ড. ইউনুসও সেই গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্রত নিয়ে সামনে এগিয়ে গেছেন। দারিদ্র্য বিমোচনের মূল শক্তি তিনি সঞ্চয় করেছেন তাঁর মায়ের কাছ থেকে। 

কর্মজীবন: ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ব্যুরো অব ইকোনমিক্সে কাজ করার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবনের সূচনা হয়। এরপর চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে উচ্চতর ডিগ্রি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি দেশে ফিরে এসে কিছুকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেন। ইতোমধ্যে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্রদ্র্য বিমোচনের জন্য পথ খুঁজতে থাকেন এবং নবযুগ তেভাগা খামার ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রবর্তন করেন। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প হিসেবে চালু থাকে এবং ১৯৭৬-এ 'গ্রামীণ ব্যাংক প্রকল্প' নাম ধারণ করে। ১৯৭৯-তে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় টাঙ্গাইল জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পের বিভিন্ন সাফল্য ১৯৮৩-তে সরকার 'গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ জারি করে। সেই থেকে এটি স্বায়ত্তশাসিত বিশেষ অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানে মর্যাদা পায়। প্রথম উদ্যোগে সাফল্য আসায় তিনি উৎসাহিত হন এবং ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর গ্রামীণ ব্যাংক নামে জামানতবিহীন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেন। এখান থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠী জামানত ছাড়া যল সুদে ঋণ পেয়ে থাকে। জোবরা গ্রামে যে ঋণ প্রকল্প শুরু হয়েছিল মাত্র ২৩ বছরের মাথায় প্রায় ১০০টি দেশে একই পদ্ধতিতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চলছে। 

আরো পড়ুন: শিষ্টাচার রচনা (২০ পয়েন্ট) অষ্টম, এসএসসি, এইচএসসি

মুক্তিযুদ্ধে ইউনুস: ১৯৬৫ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে আমেরিকার নাশভিলে ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়, তখন আমেরিকায় পড়াশোনা করতেন গরিবের এই ব্যাংকার। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে জনমত গড়ে তুলতে সুদূর আমেরিকায় নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তিনি। বাংলাদেশিদের সংগঠিত করেছেন, চাঁদা তুলে দেশে পাঠিয়েছেন। সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারের এ অধিকারী সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশি নাগরিক কমিটি। চালু করেন বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্রও। আমেরিকার তৎকালীন পাকিস্তানি দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদেরও সেখান থেকে বের হবার জন্য সাহায্য করেন। সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ ডিফেন্স লিগেরও। এ দলটি মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য সহযোগিতা দিতো। 

দারিদ্র্য শান্তির জন্য হুমকি: শান্তির সাথে দারিদ্রোর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। দারিদ্র্য শক্তির জন্য হুমকি। বিশ্বব্যাপী আয়ের বণ্টনের ছবি থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। বিশ্বের মোট আয়ের ৯৪ শতাংশ যায় মাত্র শতকরা ৪০ জনের পকেটে, বাকি শতকরা ৬০ জন বিশ্ব আয়ের মাত্র ৬ শতাংশ দিয়ে জীবন নির্বাহ করে। বিশ্ব জনসমষ্টির অর্ধেকের দৈনিক গড় আয় দুই ডলার। আর প্রায় ১০০ কোটির মতো লোকের দৈনিক আয় এক ডলারেরও কম। এটি আর যা-ই হোক শান্তির জন্য কোনো ফর্মলা হতে পারে না। কোনো রকম মানবাধিকার না থাকার অর্থই হলো দারিদ্র্য। চরম দারিদ্র্যজনিত হতাশা, বৈরিতা ও ক্ষোভে কোনো সমাজে শান্তি টেকসই হতে পারে না। তাই স্বায়ী শাস্তির জন্য আমাদেরকে অবশ্যই মানুষ যাতে একটা সুন্দর জীবন যাপন করতে পারে সেজন্য তাদের সুযোগ দিতে হবে বলে মনে করেন ড. মুহম্মাদ ইউনুস। অমর্ত্যসেন আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে অর্থনীতির পাঠ্যপুস্তকে বাক্সিমার্থ ও মুনাফাকেই অর্থনেতিক মাসেন কাভালিকানার হিসেবে দেখানো হয়েছে। সে তুলনায় সত্যিকার অর্থনীতি যে মানবিক গুণে অনেক বেশি সমৃদ্ধ হতে পায়ের মাসেও ড. ইউনূস দুজনই এর বড় প্রবক্তা। এখানেই বাঙালি নোবেল বিজয়ীর ধ্যান ধারণ মধ্যে মিল খুজে পাওয়া যায়। জন ইউনুস দারিদ্রাকে সত্য সমাজের অংশ মনে করেন না। তিনি মনে করেন, দারিদ্রোঃ স্বাদ হওয়া উচিত জাদুঘরে। মানুষ যেখানে গিয়ে জানবে এককালে দারিদ্রা বলে কিছু একটা ছিল। 

সত্যপ্রিয় ইউনূস: ড. ইউনূস খুব সাধারণ জীবন যাপন করলেও জন্ম কিন্তু তার বিত্তের মধ্যে। তার বাবা স্বর্ণ ব্যবসা। সত্যপ্রিয় ইউনুন মাউকে মেরে তান অর্থ-বিত্তের মধ্যে বড় হয়েছেন। কিন্তু বিত্ত তার মুক্ত-বৃদ্ধিকে কখনোই গ্রাম করতে পারেনি। তিনি যখন যা বিশ্বাস করেছেন সেটিই করেছেন। তত্ত্বতে তিনি বিশ্বাসী নন। তিনি একজন প্রয়োগবাড় মানুষ। সে কারণে তার বিশ্বাস ও কর্ম সব সময় সবাইকে খুশি করতে পারছে-তা নয়। কিন্তু তাই বলে তিনি নিজের বিশ্বাস থেকে কখনো সরে আসেনি। অকপটে সত্য বলার মতো সৎ সাহস তার রয়েছে। যেকোন সত্যের মুখোমুখি ডিগ্র হতে পেরেছেন অবলীলায়। তাই বলা যায় তিনি একজন সত্যপ্রিয় মানুষ। কোনো শক্তির হুমকি কখনো তাকে তাঁর পদ থেকে সরাতে পারে নি। সাধারণ মানুষের সাধারণ কোনো বিপদও তাকে বিচলিত করে, যা মহান মানুষদের বেলায় কেন্দ্রে। লক্ষ্য করা যায়। 

আরো পড়ুন: সত্যবাদিতা রচনা (২০ পয়েন্ট) অষ্টম, এসএসসি, এইচএসসি

মানুষের শক্তিতে বিশ্বাসী: ড. মুহম্মদ ইউনূস মানুষের শক্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন সব সময়। তিনি মনে করেন, প্রতি মানুষের দক্ষতা আছে এবং গরীব মানুষ যদি ধনী মানুষের মতো ঋণ ও অন্যান্য সুবিধা পায় তবে সেও মচ্ছলতাবে বেঁও থাকতে পারে। শতাব্দীর প্রাচীন জানাটি হলো বহু আয়, স্বল্প সঞ্চয়, মথ বিনিয়োগ। আর তাদের জন্য ঋণ সুবিধা। এ অবস্থায় তাদের ঋণ দিয়ে তাদের পুঁজি বাড়িয়ে, সঞ্চয় বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর কাজেই ড. ইউনুস মনোযোগী হন। আমাদের দেশের রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, আমাদের দেশের রাজনীতি মানুষের শক্তিকে অবহেলা করে। তিনি 'নাগরিক শক্তি' নামে একটি রাজনৈতিক দর গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে ফিরে আসেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তিনি মানুষের শক্তিতে বিশ্বাসী। তিনি সবসময় প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার কথা বলেছেন। ফোন সেক্টরকেও তিনি ঘুষে দেওয়ার কথা বলেছেন অনেক আগে থেকেই। সবকিছুকে তিনি সামাজিক ম্যান্ডেট হিসেবে দেখতে চান। প্রযুক্তির সাথে মানুষের আর্থিক ভাগ্য পরিবর্তনের সুযোগ তিনি করে দিয়েছেন। দেশে ভিস্যাট চালু হওয়া, অবহেলায় পড়ে থাকা রেলওয়ের ফাইবার অপটিক লাইন ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের গ্রাম পর্যন্ত বিস্তার তাঁর প্রযুক্তি মনস্কতার দূর কয়েকটি উদাহরণ। তিনি মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলেছেন। 

ড. ইউনুসের গ্রামীণ ব্যাংক: তাঁর খ্যাতি দারিদ্র-দূরীকরণে ক্ষুদ্র ঋণকে ব্যাংকিং জগতে প্রবর্তক হিসেবে। তার এ ক্ষুদ্র ঋণ দেশের সবচেয়ে অভাবী জনগোষ্ঠীর মধ্যেও যারা সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে অসহায়, সেই নারীর জন্য। পুরুষেরাও গেছে পারেন এ ঋণ, তবে অগ্রাধিকার নারীদের। দারিদ্রদ্র্য তার ধারণায় একটি অস্বাভাবিক পঙ্গুত্ব। তুলনা করেছেন বনসাই ও সাথে। যে গাছটা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে নির্দিষ্ট আকার-আয়তন লাত করত, সেটাকে কৃত্রিম উপায়ে খর্ব করা হয়েছে। তাকে বাড়বার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ ব্যাংক এনজিও নয়, যতোদূর জানি দাতা নির্ভরশীল নয়। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের মাত্রা প্রায় শতভাগ। দেশের প্রচলিত ব্যাংকিং-এ এক কল্পনাতীত ব্যাপার। দেশে যতো বড় ঋণ গ্রহীতা, ততো বড় ঋণ খেলাপী। সাধারণ ব্যাংকিং-এর পাশাপাশি গ্রামীণ ব্যাংকের এসব বৈশিষ্ট্য, গ্রামের হতদরিদ্র, অসহায় নারীদের নিয়ে ব্যাংকিং, জামানতহীন ব্যাংকিং, ছোট দলভিত্তিক ব্যাংকিং, ব্যাংকিং-এর সেবা গ্রামের নারীদের দরজায় পৌঁছে দেওয়া, দেশের দরিদ্র নারীদের জীবনে, তাদের চিন্তায়, তাদের স্বপ্নে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। 

পুরস্কার ও সম্মান লাত: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অসামান্য কীর্তি, দরিদ্র মানুষের সচ্ছলতা দান ও দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি আনার মাধ্যমে জনমনে শান্তির ছোঁয়া বইয়ে দেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন (যার মূল্যমান ১৩,৭০,০০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ১০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা প্রায়।) এছাড়াও তিনি জাতীয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৬২টি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

উপসংহার: দীর্ঘ ১০০ বছরের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩ জন বাঙালিকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এর সূচনা হয়েছিল কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যের মাধ্যমে ১৯১৩ সালে। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পান অমর্ত্য সেন এবং ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের এটাই প্রথম নোবেল পুরস্কার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url