সাহু সিজদার নিয়ম ও সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ

সাহু সিজদার নিয়ম ও সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে। সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। আর যে ভুলের কারণে সাহু সিজদা দিতে হয়। সাহু শব্দের অর্থ ভুলে যাওয়া। সাহু সিজদাহ বা সংশোধনমূলক সিজদা। নামাযের কোন ওয়াজিব বাদ পড়লে, যেমন রাকাত সংখ্যা ভুলে যাওয়া, রাকাত সংখ্যা সংক্ষিপ্ত বা ছোট করা, ছালাতের শেষ বৈঠকে তা সংশোধন করা। দুটি সিজদা ওয়াজিব। শরীয়ত মতে এ ধরনের সিজদাই হল সাজদাতুস সাহবু বা সাহু সিজদা। রাসুল (সা.) নামাজের ভুল সংশোধনের জন্য এ ধরনের কাজ করেছেন যা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।

আরো পড়ুন: সালাতের দৈহিক ও মানসিক উপকারিতা

সাহু সিজদার নিয়ম

সাহু সিজদার নিয়ম

নামাযের শেষ বসায় তাশাহহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু ডান পাশে ''আবদুহু ওয়ারাসুলুহু'' পর্যন্ত পাঠ করে ডান দিকে সালাম ফিরাতে হবে। 'আল্লাহু আকবার' বলার পর দুটি সিজদা করতে হবে। উল্লেখ্য, সিজদাহ উভয় ক্ষেত্রেই নিয়ম অনুযায়ী তাসবীহ পাঠ করতে হবে। যথারীতি বসার পর তাশাহহুদ (আত্তাহিয়্যাতু), দরূদ শরীফ ও দো‘আ মাসুরা পড়ে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।

আরো পড়ুন: জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত। 

সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ

  • ভুলবশত সালাতের একটি ওয়াজিব মিস হয়ে গেলে।
  • যদি একটি ওয়াজিব আবার বা দুইবার আদায় করা হয়।
  • নামাজের কোনো ওয়াজিব সঠিকভাবে না করা যেমন দেরিতে রুকূ সেজদা করা বিলম্বে আদায় করলে। 
  • ভুলবশত দুই বার কোনো ফরজ আদায় করা হলে।
  • যেকোনো বাধ্যতামূলক পরিবর্তন। যেমন, যে নামাজে প্রকাশ্যে কোরআন তেলাওয়াত করা হয় সেই নামাজ গোপনে কোরআন তেলাওয়াত করা। পক্ষান্তরে, যে সালাতে গোপনে কেরাত পাঠ করা হয়, সেই সালাতে কেরাত প্রকাশ্যে পাঠ করা হয়।
  • নামাজের মধ্যে ধারাবাহিকতা ধরে না রাখা। যেমন : নামাজের কোনো একটি ফরজকে আগে আদায় করা আবার কোনো একটি ফরজকে পরে আদায় করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url