হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয় - দৈনিক শিক্ষা ডটকম

হেপাটাইটিস কথার অর্থ হলো লিভার বা যকৃতের প্রদাহ। চলতি কথায় এটিকে বলা হয় জণ্ডিস। যদিও জণ্ডিস কোন রোগ নয়, রোগ লক্ষণ মাত্র। লিভার বা যকৃতের প্রদাহ হতে পারে নানা কারণে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয় ভাইরাসের সংক্রমণে। অর্থাৎ ভাইরাস হেপাটাইটিস।

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয়

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হওয়ার লক্ষণ সমূহ

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ রোগীর প্রথমে খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায় বা একদম চলে যায়, বমি বমি ভাব হয়, প্রথম ৫/৬ দিন অল্প অল্প জ্বর হয়, পেটের উপরিভাগে ডান দিকে লিভারের জায়গায় ব্যথা হয় । একই সঙ্গে প্রস্রাবের রঙ হলদে হতে আরম্ভ করে। চোখের সাদা অংশ ক্রমশঃ হলুদাভ হতে থাকে। এই চোখ হলুদ হয়ে যাওয়াটাই সবার আগে নজরে পড়ে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই মনে করেন হেপাটাইটিস বি পজিটিভ। কিন্তু, চোখ ছাড়াও জিভের তলা, মুখের ভেতর দিকটা হলুদ হতে থাকে। রোগটি বাড়তে থাকলে আস্তে আস্তে হাত ও পায়ের তালু এবং আরও বেশি হলে সমস্ত শরীর পর্যন্ত হলুদ হয়ে যেতে পারে। এসব রোগ লক্ষণই বাইরে থেকে বুঝা যায় । আর রক্ত পরীক্ষা করলে বুঝা যায় সিরাম বিলিরুবিনের মাত্রা ও হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আছে কিনা অর্থাৎ এইচ বি এস এ জি পজেটিভ কিনা । তাছাড়া প্রস্রাব পরীক্ষা করলে পাওয়া যায় ইউরোবিলিনুজেন, বাইল পিগমেন্ট ও বাইল সল্ট।

আরো পড়ুন : জন্ডিস এর লক্ষণ ও জন্ডিস হলে করনীয়

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে করনীয়

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে যথা সম্ভব শিশুকে প্রথমে বিশ্রামে রাখুন। তবে এ কথাও সত্য, শিশু মাত্রই দৌড়ঝাঁপ করবে। এ ক্ষেত্রে শিশুর রক্তে যদি সিরাম বিলিরুবিনের মাত্রা খুব বেশি না হয়, তা হলে তাকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকই রাখুন। রোগীর ব্যবহার সামগ্রী বা বাসনপত্র আলাদা করে দিলে সংক্রমণের আশংকা কম থাকে। হেপাটাইটিস বি কি ভাল হয় ? হেপাটাইটস চিকিৎসায় ঔষধের কোনও ভূমিকা নেই বললেই চলে।

আরো পড়ুন : কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়

হেপাটাইটিস বি পজিটিভ হলে যে খাদ্য খাওয়া উচিত

এ সময়ে যা খাওয়া যাবে তা হলো- ভাত, রুটি, সুজি, আলু, পটল, সিম, পেঁপে, লাউ, কুমড়া, ঝিঙে, গাজর, শালগম, ঢেঁড়স ইত্যাদি। তা ছাড়া কমলালেবু, বাতাবি লেবু,আপেল, আতা, আনার, কলা, আম, পাকা পেঁপে, শসা, আখ, মাখন তোলা দুধ, ছানা, চর্বিহীন মাছ শিশুকে খাওয়ানো যাবে। এ সময় তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।

১. বেশি করে পনি খাওয়ানো প্রয়োজন।
২. খাদ্য সহজ পাচ্য ও মুখরোচক হওয়া প্রয়োজন। কেননা এ সময় শিশুর খাওয়ার অরুচি থাকে। 
৩. ফলের রস, গ্লুকোজ খাওয়ানো যায়। তব বেশি খাওয়ালে পেটে গ্যাস হয় ও খাবারে অরুচি বাড়ে। 
৪. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার তৈরি করা না হলে ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url