মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে ও মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে ও মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুরুত্বপূর্ণ। মূলত, প্রতিমাসেই বা ২৮ দিনে ১ বার মাসিক হয় এবং ৪/৫ দিন স্থায়ী থাকে এটা স্বাভাবিক নিয়ম। মাসিক না হওয়ার বিভিন্ন কারণ। যেমন-
১। সতীচ্ছেদ পর্দা (Hymen) যদি না ফাটে।
২। সরভিক্সে নালী না থাকিলে।
৩। সারভিক্স কেটে ফেললে।
নিম্নোক্ত কারণে মাসিক একেবারেই হয় না-
১। গর্ভসঞ্চার প্রথম এবং প্রধান কারণ। তাহা হলে আর মাসিক হবে না।
২। সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান অবস্থায়। অন্যতম আর একটি কারণ রক্তহীনতা ও অপুষ্টি।
৩। ৪৫-৫০ বছরের পর।
৪। বয়স ১২ বছরের পূর্বে।
৫। ডিম্বাশয়ের টি. বি হলে।
৬। জরায়ুর মধ্যে যক্ষ্মা (T. B) রোগে আক্রান্ত হলে ।
৭। বেশী পথ হাঁটার জন্য জরায়ু ও যৌনাঙ্গে চাপের জন্য এমন হইয়া থাকে । ৮। শোক, ক্রোধ, দুঃখ, চিন্তা, উদ্বেগ, ভয় পাওয়া ইত্যাদি কারণে হইতে পারে। ৯ । অনেক সময় দেহে হর্মোনের অভাব ঘটিলে মাঝে মাঝে রজঃরোধ হয়, আবার ৪০/৫০ দিন পর স্বাভাবিকভাবে ইহা আবার হয়। যদি এই রকম নিয়মিতভাবে হয়, তখন বলা হয়, Habitual Amenorrhea.
১০। অতিরিক্ত মেদের জন্য।
মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
১। রোগী দুর্বল ও ক্লান্ত হয়। তাহার পুষ্টি স্বাভাবিক দেখা যায় না (যদি হয় তাহা হইলে গর্ভসঞ্চারের জন্য হয়।)
২। চেহারায় রক্তশূন্যতা ও ফ্যাকাশে ভাব দেখা যায়।
৩। তলপেটে ব্যথা, মাথা ধরা, মাথা ঘোরা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।
৪ । শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হইতে পারে।
৫। এই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, গা বমি বমি ভাব প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে
১। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর স্থানে বাস ও ভাল স্বাস্থ্য পালনের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
২। প্রত্যহ গরম দুধ পান করা ভাল।
৩। প্রোটিন জাতীয় খাদ্য-ছানা, ডিম, মাংস, মাছ বা কোন একটি প্রত্যহ খাইতে হবে।
৪। মানসিক শান্তি বজায় রাখার জন্যও Tension মুক্ত থাকবার চেষ্টা করতে হবে।
৫। বেশী পড়াশুনা করা, রাতজাগা বর্জনীয়।
৬। লাল শাক খাওয়া ভাল। ইহাতে রক্ত বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুন: মধু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url