ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে করণীয় | দি ডেইলি লার্ন
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে করণীয় খাবার স্যালাইন গ্রহণ করার মাধ্যমে পানিশূন্যতা রোধ করা।পাতলা পায়খানা হলে আমদের শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায় এবং শরীরে থাকা আমাদের প্রয়োজনীয় লবণ পানিও বেরিয়ে যায়। পানিশূন্যতা অত্যন্ত বেশি পরিমাণে পর্যায়ে চলে গেলে আমাদের মৃত্যুও হতে পারে। এর এই ঘাটতির ফলেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে প্রথম চিকিৎসা হলো পানিশূন্যতা পূরণ করা। পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো নিম্মে রয়েছে :
- মুখ এবং গলা শুষ্ক হওয়া
- তৃষ্ণা
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- গাঢ় হলুদ প্রস্রাব
- প্রস্রাব হ্রাস পাওয়া
- পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা
- শুষ্ক, শীতল ত্বক
- বিভ্রান্তি বা বিরক্তি
- এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো ও ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি ?
পাতলা পায়খানা চিকিৎসায় করণীয় হলো একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন আধা লিটার পানিতে মিশ্রণ করে যতক্ষণ না পর্যন্ত পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত খাওয়ার নির্দেশ দেয়। খাবার স্যালাইন এর সাথে চিড়া, ডাবের পানি, নরম রান্না করা গাজর, সেদ্ধ আলু সহ ভাতের মাড় পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে খাওয়াতে পারেন। খাবার স্যালাইন খাওয়ার পাশাপাশি প্যারাসিটামল, জিংক ট্যাবলেট, লোপেরামাইড (ইমোডিয়াম) ঔষধ গুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যেতে পারে।
- প্যারাসিটামল: সাধারণত প্রায় সময়ই প্যারাসিটামল আমরা গ্রহণ করে থাকি ছোট অসুস্থতায়। পাতলা পায়খানা হলে এবং পেটে অস্বস্তি অনুভুত হলে প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। শিশুদের সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
- জিংক ট্যাবলেট: জিংক ট্যাবলেট পাতলা পায়খানা বন্ধ হতে এবং পাতলা পায়খানা সময় কমিয়ে আনে। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা বন্ধ করতে জিংক ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে।
- লোপেরামাইড (ইমোডিয়াম): লোপেরামাইড হল একটি অ্যান্টি-ডায়রিয়াল ওষুধ যা মলের তরলতা কমাতে সাহায্য করে। এই ঔষধ গ্রহণ করার আগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ প্রহণ করা উচিত।
পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হয় ?
- কলা: সহজে হজমযোগ্য, যা অন্ত্রে অতিরিক্ত জল শোষণ করে এবং শক্ত মলকে উন্নীত করতে সহায়তা করে।
- ভাত : সাধারণত ভাত পেটে পাচনতন্ত্রকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। মানব দেহে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
- টোস্ট: সাধারণত, শুকনো টোস্ট, সাদা রুটিতে ফাইবার কম থাকায় সহজে হজম হয় এবং মলকে উন্নীত করতে সহায়তা।
- সেদ্ধ আলু: নরম সেদ্ধ আলু আপনার পেটে পাচনতন্ত্রকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
- রান্না করা গাজর: নরম রান্না করা গাজর মল শক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
- সেদ্ধ মুরগি : পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে অনেক প্রোটিন কমায় যায়। তাই মানব দেহে প্রোটিন এর ঘাটতি উন্নতি করতে মশলা ছাড়াই সিদ্ধ মুরগি খেতে পারেন।
- মসলাযুক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার
- দুগ্ধজাত পণ্য যেমন: দুধ।
- উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার যেমন গোটা শস্য, মটরশুটি এবং কাঁচা শাকসবজি
- এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url