ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, ভাবসম্প্রসারণ : ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভাবসম্প্রসারণ। তোমরা অনেকেই চেয়েছো এই ভাবসম্প্রসারণ টি। তোমাদের বহু পরীক্ষায় এই ভাবসম্প্রসারণ টি এসেছে। সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, অনন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবসম্প্রসারণ রয়েছে তোমাদের জন্য পড়তে ক্লিক করো। নিম্মে এই ভাবসম্প্রসারণটি রয়েছে :

ভোগে নয় ত্যাগেই  প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ

মূলভাব : সুখের অস্তিত্ব ভোগের মাঝে নয়, ত্যাগের মাঝে। 

সম্প্রসারিত ভাব : ভোগ মানুষকে তৃপ্ত করতে পারে না। কারণ, ভোগের কোন সীমা পরিসীমা নেই। মানুষ যতই ভোগ করতে থাকে, ভোগের স্পৃহা ততই বাড়তে থাকে। ফলে চারপাশে প্রচুর ভোগের উপাদানের উপস্থিতি থাকলেও তার মান সবসময় ভোগের নতুন নতুন উপাদান সংগ্রহে তৎপর থাকে। এভাবে তার অন্তর কখনো অভাবশূন্য হতে পারে না বলে তৃপ্ত হতে পারেনা। অপরপক্ষে, ভোগের নিত্য নতুন উপচারের সন্ধান আবিষ্কার ইত্যাদি নানাবিধ চিন্তায় তার মন সারাক্ষণ ব্যতীব্যস্ত থাকে এবং তার অর্থ সংগ্রহের জন্য তাকে নানা বৈধ-অবৈধ পথে চলতে হয়। এসব কারণে তাকে কেবল দুঃখই অর্জন করতে হয়। কিন্তু, যে মহামানবেরা ত্যাগের দীক্ষা গ্রহণ করেছেন তাদের অন্তর সারাক্ষণই আনন্দে পরিপূর্ণ থাকে। কারণ, নিজেদের ভোগের জন্য তারা মোটেই ভাবেন না বিদায় তাদের অন্তর না পাওয়ার বেদনায় যেমন ক্ষতবিক্ষত হয় না, তেমনি অন্যের উপকার করতে পারার সাফল্য অন্তরে বাড়তি আনন্দ যুক্ত হয়। ফলে অন্তরে কেবল আনন্দ আর আনন্দই বিরাজ করে।  ভোগ বিলাসে ব্যয় করার গর্বের কিছু নেই। পৃথিবীতে এমন অনেকেই আছে যারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কোন চিন্তা করতে পারেনা। তারা তাদের অর্জিত সম্পদকে যক্ষের মতো আগলে রাখতে চায়। কিন্তু, একদিন তাদের এই সম্পত্তির  আর কোন অস্তিত্ব বজায় থাকে না।

সম্পকিত ভাবসম্প্রসারণ : সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। 

নিজ স্বার্থে অর্জিত তাদের এই সম্পত্তি পুরোপুরি ধুলোয় মিশে যায়। পৃথিবীতে ইতিপূর্বে অনেক ব্যক্তি এসেছিলেন যারা অর্থ-প্রাচুর্যের দিক থেকে ছিল অনেক শক্তিশালী। কিন্তু, পৃথিবীর মানুষ তাদের কথা বিন্দুমাত্র মনে করতে চায় না। কারণ, তারা অন্যের জন্যই কখনোই অর্থ ব্যয় করতে সচেষ্ট ছিলেন না। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) পৃথিবীর মানুষের কাছে আদর্শ স্বরূপ। হাজী মুহাম্মদ মহসিন কেবল দানশীলতার তার কারণেই 'দানবীর' নামে পরিচিত। 

তারা যদি নিজেদের উপার্জিত অর্থ অন্যের প্রয়োজনে ব্যয় না করতেন তবে পৃথিবীর মানুষ তাদেরকে কখনোই স্মরণ করত না। সুতরাং বলা যায় অর্জিত ধন অন্যের প্রয়োজনে ব্যয় করার মাধ্যমেই প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। তাই বলা যায় প্রকৃত সুখ ভোগের মধ্যে নেই আছে ত্যাগের মধ্যে। 

মন্তব্য: জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করতে চাইলে ভোগের উপাসনা দিয়ে ত্যাগের দিকে ধাবমান করতে হবে। তাহলেই জীবন সার্থক এবং সুন্দর হবে।

সম্পকিত ভাবসম্প্রসারণ : পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না। 

ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাব সম্প্রসারণ

ভাবসম্পসারণ এর সারাংশ : ভোগ কখনও কোনো মানুষের মধ্যে সুখ আনতে পারে  না। আপনার অনেক সম্পদ হতে পারে আপনি সেই সম্পদ ভোগ করতেই পারেন কিন্তু, প্রকৃত অর্থে আপনি সেই ভোগের মধ্যে কখনোই সুখ খুঁজে পাবেন না। কেননা, ভোগের মধ্য সুখ পাওয়া যায় না। একটা মানুষ যখন দীর্ঘদিন সুখ অনুভব করে। তখন সুখ ভালো না লাগাটাই স্বাবাবিক। সুখ দুঃখের মধ্য়েই যে সুখ খুঁজে নিতে হয়। পৃথিবীর মহামানব তিনি অনেক অর্থ ও সম্পত্তির মালিক ছিলেন। 
তারা সবাই অকাতরে মানুষকে দান করেছেন। নিজের স্বার্থ চিন্তা করলে কখনো প্রকৃত সুখ পাওয়া সম্বব না। তাই প্রকৃত সুখ পেতে হলে ত্যাগ করতে হবে। আর ত্যাগের মধ্যয়েই প্রকৃত সুখ বিরাজমান। এজন্যই বলা হয় ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।

সম্পর্কিত ভাবসম্প্রসারণ : শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url