আওয়াবিন নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
আওয়াবিন নামাজের নিয়ম,নিয়ত ও ফজিলত। ইসলামে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য নামাজ পড়া ফরজ। আওয়াবিন নামাজ পড়া ফরজ নয়। আল্লাহকে সন্তুষ্টির আশায় এই আওয়াবিন নামাজ আদায় করেন। যা অত্যন্ত সওয়াবের একটি নামাজ এবং এর ফজিলত ও অনেক বেশি। এখানে আওয়াবিন নামাজের নিয়ম,নিয়ত ও ফজিলত পড়ুন:
আওয়াবিন নামাজের ফজিলত সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর দুই রাকাত বা চার রাকাত করে ২০ রাকআত নফল নামাজ আদায় করে এশার নামাজের পূর্বে, তার জন্য ১২ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়। এই আওয়াবিন নামাজের ফযীলত অনেক। এই নামায পড়লে আল্লাহ তা'আলা তার বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেন এবং সেই সাথে তার জন্য ১২ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়।
আরো পড়ুন: উমরি কাজা নামাজের নিয়ম ও নিয়ম।
আউয়াবীন নামাযের ফযিলত সম্পর্কে কিছু হাদীস নিম্নরূপ:
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেবেন।" (তিরমিযী, হাদীস: ৪১৪)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর চার রাকাত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য গুনাহ মাফ করে দেবেন, যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।" (আবু দাউদ, হাদীস: ১২৯৭)
আরো পড়ুন: সালাতের দৈহিক ও মানসিক উপকারিতা।
আওয়াবিন নামাজের ওয়াক্ত
আওয়াবিন নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় এশার নামাজের আগে এবং মাগরিবের নামাজের পরে এই নামাজ পড়তে হবে। এই সংক্ষিপ্ত সময়টি প্রার্থনার জন্য উত্সর্গীকৃত, এবং এটি সূর্যাস্তের পরে শুরু হয়। এই নামায ও মাগরিবের নামাযের নির্দিষ্ট সময় রয়েছে।
আওয়াবীনের নামাযের রাকাত সংখ্যা
বিশেষজ্ঞ আলেমদের মতে আওয়াবীনের নামাযের রাকাত সংখ্যা সালাত মাত্র ছয় রাকাত। যারা আট, বারো, বিশ রাকাত বলে অনেক মনে করেন। অধিকাংশ আলেমদের মতে ছয় রাকাতই যথেষ্ট বলে বিশ্বাস করেন।
আওয়াবিন নামাজের নিয়ম
আউয়াবীন নামাযের নিয়ম হলো, মাগরিবের নামাজের পর দুই রাকাত বা চার রাকাত নামাজ আদায় করা। এই নামায দুই রাকাত নিয়তে পড়তে হবে। প্রতি দুই রাকাতে প্রথম রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে একবার আয়াতুল কুরসি এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে তিনবার সূরা এখলাস পাঠ করুন। নামাজ শেষে নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করুন:
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি সাব্বিত কালবি আ’লা দ্বীনিক।
আওয়াবিন নামাজের নিয়ত
আরবি নিয়ত : নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই সালাতিল আওয়াবীনি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তাআলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার ।
বাংলা নিয়ত : আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলামূখী হইয়া দুই রাকাআত নফল নামায আদায়ের নিয়ত করিলাম আল্লাহু আকবার।
আরো পড়ুন: সাহু সিজদার নিয়ম ও সাহু সিজদা ওয়াজিব হওয়ার কারণ।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url