উমরি কাজা নামাজের নিয়ম ও নিয়ম

উমরি কাজা নামাজের নিয়ম

হাদিসের ভাষায় উমরি কাযা বলে কোনো শব্দ নেই। কাযা নামাযের পরিমাণ ছয় গুণ বা তার বেশি হলে ফিকহের পরিভাষায় এ ধরনের কাযাকে উমরি কাযা বলে। এসব কাযা নামায এক জায়গায় ছয় ওয়াক্ত হতে পারে বা বিভিন্ন সময়ের নামায ছয় ওয়াক্ত কাজা হিসেবে আদায় করা যায়। যদি ছয় বা ততোধিক ওয়াক্ত নামায আদায় করা হয়ে থাকে, তাহলে নামাযের সময়ের আগে নামায পড়ার ক্রম বা ক্রম বজায় রাখা আর ওয়াজিব নয়। এটা নিষিদ্ধ ও মাকরূহ সময় ব্যতীত যে কোন সময় করা যায়। 

উমরি কাজা নামাজের নিয়ত

বিগত জীবনে কাযা নামায পড়ার নিয়ম 

যদি কোন ব্যক্তি এক সাথে অনেক মাস বা কয়েক বছর কাজা নামায পড়ে থাকে তাহলে প্রথমে সে হিসাব করে দেখতে হবে যে সে কয়দিন কাজা নামায পড়েনি। যতক্ষণ না আপনার মনে মনে হয় যে নামায পড়ে গেছে, সতর্কতা হিসেবে তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গণনা করে রাখুন। তারপর নামাযের নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত অন্য যে কোন সময় কাজা করা। এটি করার একটি সহজ উপায় হল যে কেউ যখন ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়বে, তখন সে অতীত জীবনে এক বা দুইবার কাযা নামাজ পড়বে।

আরো পড়ুন: কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম ও নিয়ত।

উমরি কাজা নামাজের নিয়ত

কাযা নামায পড়ার সময় উমরী মনে মনে নিয়ত করবে যে, আমি অমুক দিনে ও অমুক সময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেবলার দিকে মুখ করে ফরয নামাযের কাযা আদায় করতে চাই, আল্লাহু আকবার।

যদি তারিখ নির্দিষ্ট করা সম্ভব না হয়, তাহলে নিয়ত করুন যে আমি যোহরের নামাজের প্রথমটি আদায় করতে চাই যার জন্য আমি দায়ী, আল্লাহু আকবার। অনুরূপভাবে অন্য সময়ে কাযা নামায পড়ার সময়ও নিয়ত করা হবে।

আরো পড়ুন: বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত

ভুলে যাওয়া ব্যক্তির কাযা নামাযের প্রায়শ্চিত্ত

যদি কোনো ব্যক্তি কাফফারা দেওয়ার অসিয়ত না করেই মারা যায় বা কাফফারা দেওয়ার মতো যথেষ্ট সম্পদ রেখে না যায়, তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা দেওয়া ওয়ারিশদের ওপর ওয়াজিব নয়। তবে মৃতের উত্তরাধিকারীরা স্বেচ্ছায় ও স্বেচ্ছায় কাফফারা আদায় করলে জায়েয হবে।

মৃত ব্যক্তির কাযা নামাজ ও রোজা পালনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের খারাপ প্রথা রয়েছে। কিছু জায়গায়, অনাদায়ী নামাজ ও রোযার মোট ফিদিয়ার পরিবর্তে এক বা একাধিক কুরআন শরীফ দান করা হয়। সম্পূর্ণ কাফফারা প্রদান করা হবে না, তবে শুধুমাত্র কুরআন বাজারমূল্য কাফফারা আদায় হবে। কারো মৃত্যুর পর কুরআন খানি, মিলাদ শরীফ, কাঙ্গালী ভোজ ইত্যাদি করা হলে কাফফারা হবে না। আলাদাভাবে দিতে হবে।

আরো পড়ুন: সালাতের দৈহিক ও মানসিক উপকারিতা। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url